Ratna Chatterjee: ‘সব সময়ই মনে হত আমি কাউন্সিলর’, শোভনের ওয়ার্ডে টিকিট পেলেন রত্না

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 26, 2021 | 10:59 PM

TMC Candidate List: শুক্রবার দিনভর বৈঠকের পর সন্ধেয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তালিকায় নাম রয়েছে রত্নার।

Ratna Chatterjee: সব সময়ই মনে হত আমি কাউন্সিলর, শোভনের ওয়ার্ডে টিকিট পেলেন রত্না
জয়ী রত্না চট্টোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা : রাজনৈতিকভাবে আগে কখনই সে ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি রত্না চট্টোপাধ্যায়। পরে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর শুরু তাঁর রাজনৈতিক উত্থান। একদিকে যখন রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছেন একসময়ের প্রথম সারির তৃণমূল নেতা শোভন, অন্যদিকে তখন সক্রিয় হচ্ছেন রত্না। বিধায়ক হওয়ার পর এবার কাউন্সিলরের দৌড়ে নামলেন তিনি। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন। সেই ওয়ার্ডেই এবার তৃণমূলের টিকিট পেলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।

রত্না জানাচ্ছেন, এই টিকিট তাঁর কাছে প্রত্যাশিতই ছিল। শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে ওই ওয়ার্ড তিনিই সামলাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন রত্না।

১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে রত্নার নাম সামনে আসার পর তাঁর অনুগামীরাও আবীর খেলায় মেতে উঠেছেন। রত্না জানিয়েছেন, শোভন বাবু এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন না থাকার জন্য পুরো ওয়ার্ডটা তিনি সামলেছিলেন। তিনি অনেক আশা করেছিলেন তিনি যেন পুরভোটের টিকিটটা পান। আর তাঁর সেই স্বপ্নই আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।

এ দিন রত্না বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর ধরে এই ওয়ার্ডের হাল ধরেছি। ওয়ার্ডের সঙ্গে এতটাই আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে আমার কখনও মনে হয়নি আমি কাউন্সিলর নই।’ তিনি আরও জানান, এই ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা এতটাই যে সবাই জানে, কারও কোনও অসুবিধা হলে রত্না দিন আছেন। রত্নার কথায়, ‘আমি ভাবিনি কোনও দিন বিধায়ক হব, সেই সম্মান দেওয়ার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।’

২০১৮ সালে কলকাতার মেয়র পদ ছেড়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধির পদ তিনি ছাড়েননি। তবে শোভন দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকেই ওই ওয়ার্ডের কাজকর্ম দেখতেন রত্না। এ দিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিলেও বিজেপির সঙ্গেও তাঁর ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রত্নার সঙ্গে চলছে তাঁর বিচ্ছেদের মামলা।

শুধু রত্নাই নয়, দলের প্রয়োজনে ৬ বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক মণ্ডলীতে থাকা ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমার এবারও টিকিট পাচ্ছেন। পাশাপাশি তালিকায় জায়গা পেয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ পাল। সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও টিকিট দেওয়া হচ্ছে মালা রায়কে। তবে প্রার্থী তালিকায় নাম নেই রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের। তাঁর স্ত্রীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়র পদপ্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ভোটের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ।

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: ‘আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী,খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় সমাজ বিরোধীদের পাঠাচ্ছে!’

Next Article