AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dilip Ghosh: ‘আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী,খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় সমাজ বিরোধীদের পাঠাচ্ছে!’

Purulia: দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল।

Dilip Ghosh: 'আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী,খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় সমাজ বিরোধীদের পাঠাচ্ছে!'
পুরুলিয়ার সভায় দিলীপ ঘোষ
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 10:00 PM
Share

পুরুলিয়া: ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের। পুরুলিয়ার জয়পুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পুরানো একটি ঘটনায় বিতর্ক উস্কে দেন। প্রকাশ্য মঞ্চে তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে সোনামুখীতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। পাত্রসায়েরে কাছে আমাদের আটকাবার জন্য লুঙ্গি পরে লাঠিসেটা লোকজন দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় আমি আমার ড্রাইভারকে বলেছিলাম গাড়ির সামনে এলে তার উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দাও । সবাই ছবি করুক, দিলীপ ঘোষের সামনে এলে কি হয় দেখবে। আর সেভাবেই বেরিয়ে এলাম।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাস্তায় বিক্ষোভকারী মানুষের উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর নিদান সমর্থনযোগ্য নয়। এদিকে, এদিন তাঁর সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ জেলার অনান্য নেতৃত্বরা।

সম্প্রতি সমাপ্ত হয়েছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার পুরভোট। শাসকদল বিজেপি অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করলেও লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী তৃণমূল ও সিপিএম। কোথাও অবাধে ছাপ্পা তো কোথাও তৃণমূল প্রার্থীকে ব্যাপক মারধর আবার কোথাও সিপিএম ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজেপিকে। যদিও সেই সস্ত্রাসের জন্য এই রাজ্যের তৃণমূলকেই দায়ী করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “আমরা বাংলা থেকে বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপতি, খেলোয়াড়, গায়ক পাঠালেও তৃণমূল ত্রিপুরায় এই রাজ্য থেকে সমাজবিরোধীদের পাঠাচ্ছে। তাদের আদতে সেখানে গন্ডগোল পাকানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি ঘাসফুল সাংসদদের ‘দাগী’ বলেও কটাক্ষ করেন। এতেই থামেননি দিলীপবাবু।

জাতীয় রাজনীতিতে ঘাসফুল শিবিরের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার প্রচেষ্টকে কটক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল বর্তমানে পুনর্বাসন কেন্দ্র। দেশের ‘রিটায়ার্ড’ ও ‘টায়ার্ড’ নেতাদের পয়সা আর পদের লোভ দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যে যে দল উঠে গিয়েছে সেই দলের নেতারা যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে। ত্রিপুরায় টাকা বা পদের লোভ দেখিয়েও কাউকে দলে টানতে পারেনি। টিকিট দিতে চেয়েও দলে পায়নি।” এছাড়াও শাসকবলের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশকেও একহাত নেন বিজেপির শীর্ষ নেতা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাকে বারে বারে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আটকানোর পিছনে পুলিশি মদতে ছিল বলে দাবি। এছাড়াও গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনাতে তিনি বলেন, সেদিনও কোনও পুলিশ, এসপি, ডিএসপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোনামুখীতে বিজেপিকে আটকানোর জন্য সব পুলিশ তৈরি ছিল, কিন্তু গুন্ডা আর ডাকাতদের আটকানোর জন্য কোনও পুলিশ ছিল না।

দিলীপবাবু এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। লখিমপুরের প্রসং তুলে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতো বলেন এটা বিজেপির সংস্কৃতি। আন্দোলন রত মানুষের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়া সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। বিজেপি এভাবেই মানুষের মুখ বন্ধ করতে চায়।

আরও পড়ুন: TMC Candidate List: ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি দূরে সরিয়েই ৬ বিধায়ককে টিকিট দিলেন মমতা