Phool Bagan: ছেলে-বউমার জন্য রেকর্ড করে গিয়েছেন ভিডিয়ো, দুপুরে সবাইকে খেতে বলে ছাদে গিয়ে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ ফুলবাগানের ব্যবসায়ীর
Phool Bagan suicide: গতকাল দুপুরে দুই ছেলে ও বড় বউমা নিউটাউনে সাইট ভিজিটে গিয়েছিলেন। দুপুরে ছোট ছেলের স্ত্রী ও বাড়ির দুই জন পরিচারক (খুকু ও বংশি)-কে তিনি খেয়ে নিতে বলেছিলেন। পরে খাবেন বলে ঘরে ঢুকে যান।

কলকাতা: নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী ফুলবাগানের ষাটোর্ধ্ব ব্যবসায়ী। বাড়ির ছাদে উঠে নিজের লাইসেন্স আর্মস দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে নিজের মোবাইলে একটি ভিডিয়োও রেকর্ড করে যান।
মৃত ব্যক্তির নাম জয়ন্ত সাহা (৬৫)। পেশায় তিনি কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী। ফুলবাগানের সিআইটি রোডে তাঁর বাড়ি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মানসিক অবসাদেই ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। দুই ছেলে ও পুত্রবধুদের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন। কেমো চলছিল তাঁর। গত মার্চ মাসেই তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। স্ত্রীর শোকেই আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে মোবাইলে ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই বৌমার উদ্দেশ্যে ভিডিয়ো বার্তায় বলে গিয়েছেন, “চিন্তা করিস না। বন্দুক দিয়ে সুইসাইড করছি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়…।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জয়ন্ত বাবু দুপুর তিনটে পাঁচ নাগাদ মোবাইলে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এরপর বিকেলে বা সন্ধ্যার দিকে আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুরে দুই ছেলে ও বড় বউমা নিউটাউনে সাইট ভিজিটে গিয়েছিলেন। দুপুরে ছোট ছেলের স্ত্রী ও বাড়ির দুই জন পরিচারক (খুকু ও বংশি)-কে তিনি খেয়ে নিতে বলেছিলেন। পরে খাবেন বলে ঘরে ঢুকে যান। দীর্ঘক্ষণ ঘর থেকে বেরোচ্ছেন না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন খুকু, বংশি ও বাড়ির ছোট বৌমা। পরে ছাদে গিয়ে বংশি দেখেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন জয়ন্ত সাহা।
তাঁর ছেলে বলেন, “গত সেপ্টেম্বরে বাবা ক্যানসার আক্রান্ত হন। ৬টা কেমোও হয়েছিল। ৭ মার্চ মা মারা যান। এতদিনের সঙ্গীকে হারানোয় ডিপ্রেশনে ছিলেন। কিন্তু এত বড় পদক্ষেপ করবেন, তা ভাবিনি।”

