Partha Chatterjee: আদালতে পার্থর মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ, কী ব্যাখ্যা দিচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী
Partha Chatterjee: আদালতে পার্থ বলেন,"এসএসসি চলে বোর্ডের মাধ্যমে। মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। নিয়োগ দিতে পারে না। ক্যাবিনেট সচিব রিপোর্ট করেন প্রধান সচিবকে। প্রধান সচিব রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।"
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার ফের একবার জামিনের জন্য আবেদন করেন আদালতে। এদিন আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল পার্থকে। সেখানে বিচারকের কাছে বার বার তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে হয়, এদিন সেই ব্যাখ্যাও আদালতে দেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আদালতে পার্থ বলেন,”এসএসসি চলে বোর্ডের মাধ্যমে। মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। নিয়োগ দিতে পারে না। ক্যাবিনেট সচিব রিপোর্ট করেন প্রধান সচিবকে। প্রধান সচিব রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।” যদিও তিনি শুধু পদের কথাই উল্লেখ করেছেন, কারও নাম উল্লেখ করেননি।
এক বছরের বেশি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বার বার জামিনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও জেল থেকে বেরোতে পারেননি। প্রতিবারই জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। সোমবার ফের একবার নিজের জামিনের জন্য আর্জি করেন পার্থ। মন্ত্রী হিসেবে দুর্নীতিতে তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলেই আদালতে দাবি পার্থর। তাঁর দাবি, মন্ত্রী কোনও নিয়োগ দিতে পারেন না।
পাশাপাশি দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি বলেও দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এমন অবস্থায় যাতে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে কখনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে, কখনও বা অন্য কোনও কারণ উল্লেখ করে নিজের জামিনের আবেদন জানিয়েছেন পার্থ। কিন্তু প্রতিবারই পার্থর প্রভাবশালী তত্ত্ব জামিনের পথে কাঁটা হয়ে উঠেছে। এবার নিজেকে প্রভাবশালী নন বলেও আদালতে দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিন মামলার শুনানির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘এসএসসিতে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো কাজটি চালায় একটি স্বাধীন গভর্নিং বডি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী হিসেবে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই।’
বিষয়টি নিয়ে আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময় প্রশ্ন করা হয়েছিল পার্থবাবুকে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পার্থ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগকর্তা নন। সুপারিশকর্তা নন। যাঁরা ইংরেজি বোঝেন, আমি ইংরেজিতে বলেছি। তাঁরা বুঝেছেন, আমি দূরত্ব বাড়াইনি। তাঁর প্রতি আনুগত্য আমার অপরিসীম ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে।’