AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Scam Case: ‘হেল্পলেস সরকারি অফিসার চাই না’, নিয়োগ মামলায় মুখ্যসচিবের ‘দায়িত্ব পালন’ দেখে আশ্চর্য হাইকোর্ট

Recruitment Scam Case: মঙ্গলবার ফের রিপোর্ট দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, 'ল ডিপার্টমেন্টকে পাঠানো হয়েছে আদালতের নির্দেশ। সাধারণ নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এ ক্ষেত্রে তদন্তের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না।' এই রিপোর্ট দেখেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।

Recruitment Scam Case: 'হেল্পলেস সরকারি অফিসার চাই না', নিয়োগ মামলায় মুখ্যসচিবের 'দায়িত্ব পালন' দেখে আশ্চর্য হাইকোর্ট
হাইকোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2024 | 1:12 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে, আর বারবার সেই রিপোর্ট দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারও সেই একই ঘটনা। আবারও আদালতের ভর্ৎসনা রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলাকে। এবার মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে জানাতে হবে, অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তে অনুমতি দেবে কি না। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সিবিআই। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

এর আগেও এই মামলায় মুখ্যসচিবকে কড়া বার্তা দিয়েছিল হাইকোর্ট। সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। আজ, মঙ্গলবার ফের রিপোর্ট দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘ল ডিপার্টমেন্টকে পাঠানো হয়েছে আদালতের নির্দেশ। সাধারণ নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এ ক্ষেত্রে তদন্তের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না।’ এই রিপোর্ট দেখেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।

বিচারপতি বাগচী বলেন, “আদালত মনে করছে, মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেখানে কোনও বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি তাঁর দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। আদালত আশ্চর্য হয়েছে যে রাজ্যে সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করব প্রভাবশালী অভিযুক্তদের পদ মুখ্যসচিবকে প্রভাবিত করবে না। একজন মুখ্যসচিব স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

হেল্পলেস সরকারি অফিসার চাই না বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, বহু মানুষ তদন্তে আশায় বসে আছেন, তাঁদের কথা ভাবতে হবে। সিবিআই সাতখানা চিঠি লিখেও কেন কোনও উত্তর পেল না? সেই প্রশ্নও উঠেছে আদালতে। বিচারপতির আরও বলেন, ‘হয়ত মুখ্যসচিবকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা রাজনৈতিকভাবে তাকে অপ্রিয় করে তোলে।’

আদালতের স্পষ্ট বার্তা, অনেক ভালভাবে কথা হয়েছে। নির্বাচন কোনও অজুহাত হতে পারে না। মুখ্যসচিবকে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে আদালতকে উত্তর দিতে বলেও জানানো হয়েছে।