Mousumi Kayal: বিভিন্ন আন্দোলনে থেকেছি বলেই ফাঁসানো হচ্ছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: মৌসুমী

Mousumi Kayal: মৌসুমী কথায় কথায় জানান, বেশ কিছুদিন তাপস মণ্ডলের কাছে কাজ করলেও ২০১৬ সালে বেতন বন্ধ হয়ে যায় ওই কোম্পানির। তারপর সেখান থেকে কাজ ছেড়ে দেন তিনিও। কুন্তল ঘোষ কেও তিনি কখনও দেখেননি।

Mousumi Kayal: বিভিন্ন আন্দোলনে থেকেছি বলেই ফাঁসানো হচ্ছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র:  মৌসুমী
মৌসুমী কয়াল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 1:43 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যতই গুটিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা, ততই জড়িয়ে যাচ্ছে একের পর এক নাম। সেগুলির বেশিরভাগই অবশ্য কুন্তল ঘোষের বলা। আদালতে যাওয়ার পথে যতবারই তিনি সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়েছেন, একের পর এক নাম নিয়েছেন তিনি। সে তাপস মণ্ডল হোক কিংবা গোপাল দলপতি, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মৌসুমী কয়াল। নামটা শুনে কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়েছিল বাংলা। এ যাবৎ যে রহস্যময়ীদের নাম উঠে এসেছে, সেগুলি একেবারেই পরিচিত ছিল না। কিন্তু এই মৌসুমী কয়ালকে চেনে বাংলা। সেই কামদুনি আন্দোলনের সময় থেকে। সালটা ২০১৩। লড়েছিলেন মৌসুমী। তিনি আন্দোলনের মুখ হয়েছিলেন। সেই মৌসুমীই নাকি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, অভিযোগ তেমনই করেছেন কুন্তল। এবার সেই মৌসুমীর বাড়িতে TV9 বাংলা। কী বলছেন মৌসুমী?

বৃহস্পতিবার আলিপুর জজ কোর্টে কুন্তল ঘোষকে পেশ করা হয়। আদালতে যাওয়ার পথে কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, “মৌসুমী কয়াল তাপস মণ্ডলের এজেন্ট।” তাপসের অফিসে যে মৌসুমী কাজ করতেন, তা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এবার মৌসুমীর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন কুন্তল। মৌসুমীর বক্তব্য, রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসাবার চেষ্টা করছেন কুন্তল। তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতের মানহানির মামলা করতে চলেছেন মৌসুমী।

মৌসুমী কয়েলের বক্তব্য, তিনি তাপস মণ্ডলের কোম্পানিতে কাজ করতেন শুধু একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রজেক্টের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই কাজেই তাপসের অফিসে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কাজ করতেন আরও কয়েকজন মহিলা। মৌসুমীর দাবি, সেখানে এসএসসি দুর্নীতির কোন যোগ ছিল না।

মৌসুমী কথায় কথায় জানান, বেশ কিছুদিন তাপস মণ্ডলের কাছে কাজ করলেও ২০১৬ সালে বেতন বন্ধ হয়ে যায় ওই কোম্পানির। তারপর সেখান থেকে কাজ ছেড়ে দেন তিনিও। কুন্তল ঘোষকেও তিনি কখনও দেখেননি। মৌসুমীর কথায়, “কুন্তল ঘোষের মুখে হঠাৎ আমার নামটা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”

তিনি বলেন, “আমি আসলে বিভিন্ন সময়ে একাধিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি। বর্তমানে যাঁরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের পাশে থেকেছি, তাঁদের হয়ে কথা বলেছি, তাই রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করেই আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।”

মানিক ভট্টাচার্যকে কি তিনি চিনতেন? তাপস মণ্ডলের অফিসে তাঁর কি যাতায়াত ছিল? সেইসব প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী জানান, কলকাতার একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে মানিক ভট্টাচার্যকে একবারই তিনি দেখেছিলেন তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। মৌসুমীর দাবি, কোনভাবেই এই নিয়োগ দুর্নীতির এজেন্ট হয়ে কাজ করেননি তিনি। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কোন তদন্তে তাঁকে ডাকলে তিনি সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবেন বলেই জানিয়েছেন মৌসুমী।