TMCP in Recruitment Scam: ‘টাকা নেওয়া হয়ে গেছে, চাকরিগুলো করে দিতে হবে’, মন্ত্রীর কাছে নাকি গেছিল এমনই বার্তা
Recruitment Scam: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তির দাবি, এক মন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়েছিল। সঙ্গে ওই মন্ত্রীকে নাকি বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে টাকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই চাকরিগুলো করে দিতে হবে। যদিও কোন মন্ত্রীর কথা তিনি বলছেন, সেই বিষয়ে চিঠিতে কিছু উল্লেখ করেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের পরতে পরতে নতুন রহস্যের মোড়। পাহাড়েও জিটিএ অন্তর্ভুক্ত এলাকাতেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিশ্বজিৎ বসুর কাছে ও তদন্তকারী সংস্থার কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক চিঠি পাঠিয়েছেন এই বিষয়ে। শুধু শিক্ষক নিয়োগেই নয়, পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিস্তর অভিযোগের কথা সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। উঠে এসেছে যাদবপুরের ছাত্র নেত্রী রাজন্যা হালদারের স্বামী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীর নামও।
তিন পাতার ওই চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, টিএমসিপি সহসভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখলেই বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপরই তাঁর দাবি, এক মন্ত্রীর কাছে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়েছিল। সঙ্গে ওই মন্ত্রীকে নাকি বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে টাকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাই চাকরিগুলো করে দিতে হবে। যদিও কোন মন্ত্রীর কথা তিনি বলছেন, সেই বিষয়ে চিঠিতে কিছু উল্লেখ করেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।
যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী এই জাতীয় অভিযোগগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। টিভি নাইন বাংলার তরফে তাঁকে এই অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অবগতই নয় কেন হচ্ছে। বুঝতেই পারছি না। আমি আমল দিতেই নারাজ। আমি এইসময়ে একটি সিনেমা বানালাম। পাহাড় কেন্দ্রিক সিনেমা। ঠিক সেই সময়েই এই অভিযোগগুলি উঠে আসছে। আমি এখন এই নিয়ে একেবারেই আমল দিতে নারাজ। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেই পারেন, কিন্তু সেই অভিযোগের কতটা সত্যতা আছে, সেটাও বিচার করা দরকার। কেউ কাউকে কালিমালিপ্ত করতে, এসব করতেই পারে।’