
কলকাতা: ঘটনার পর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। তিলোত্তমা মামলার শুনানিতে ফের প্রশ্নের পর প্রশ্ন ছুড়লেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সিবিআই-এর প্রতি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। একযোগে আদালতে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে তিলোত্তমার পরিবার। সিবিআই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধেও এদিন অভিযোগ তুলেছেন তিলোত্তমার বাবা।
বিচারককে তিলোত্তমার মা বলেন, “আমি কেন কোথাও কিছু বলতে পারব না? মেয়েটা হারিয়েছে আমার।” তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমার আপনার কাছে একটাই আবেদন। সিবিআই দেশের সেরা এজেন্সি। যখন হস্টেলে যাওয়া হয়েছিল, সিবিআই কী কী পেয়েছে, জিজ্ঞেস করুন তো।”
তিলোত্তমার বাবা আরও জানান, ঘটনার পর, গত বছরের ৭ অগস্ট যখন তাঁরা সিবিআই অফিসে গিয়েছিলেন, তখন সিবিআই ডিরেক্টর প্রথমে তাঁদের বলেছিলেন, ‘আমরা কেস ছেড়ে দেবো। পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেব।’ তিলোত্তমার পরিবারের দাবি, চার মাস হয়ে গেল, এখনও হল না। এটা একটা বিশাল বড় ক্রাইম। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আবেদনও জানানো হয়েছিল পরিবারের তরফে। সেটা হয়নি।
সিবিআই-এর উপর কার্যত আস্থা হারিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমি জানতে চাই, আমার মেয়ে কোথায় ছিল? সেমিনার হলে আমার মেয়ে গেল কীভাবে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমার মেয়ের মুখ দেখতে হল। আমরা হাসপাতালে যাওয়া পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ চাই। এরা (সিবিআই) নির্লজ্জ।”
শুনানিতে তিলোত্তমার মা যখন কথাগুলি বলছিলেন, তখন তদন্তকারী অফিসারের চোখেও জল চলে আসে। শুনানির শেষে আদালতের বাইরে বেরিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার চোখে জল নিয়ে বললেন, ‘আমিও মা।’
আগামী ১৭ জানুয়ারি এই মামলার স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়বে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে জমা পড়েছে সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আজ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সিসিটিভি দেখে যাদের যাদের প্রয়োজন মনে হচ্ছে, তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিলোত্তমার মা এদিন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চেয়ে আবেদন জানান। তাতে আপত্তি জানিয়েছে সিবিআই।