কলকাতা: বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে লালবাজারে তলব করা হল। ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, তার তদন্তে নেমে এবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে তলব করা হয়েছে। ১৪ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাতে ধরপাকড় শুরু করেছে লালবাজার। এখনও অবধি ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ৭ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ তারিখ আরজি করের উল্টো দিকেই ধরনা কর্মসূচি ছিল বামেদের। মঞ্চ করে ধরনা দিচ্ছিল তারা। মীনাক্ষীও ছিলেন সেখানে। তবে যখন ঝামেলা শুরু হয় কার্যত ছত্রখান হয়ে যায় ওই চত্বর। এখানেই পুলিশ জানতে চায়, সেই সময় কোথায় ছিলেন মীনাক্ষীরা।
উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়ায় অবস্থিত আরজি কর হাসপাতাল। গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলনে উত্তাল। তবে গত ১৪ তারিখ যে অবস্থা হয়, তা সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। মহিলাদের রাত দখলের রাতে পথে নেমেছিল আমজনতা। আর সেটাকেই হাতিয়ার করে চলে দুষ্কৃতী হামলা। সেদিন দুষ্কৃতীদের হামলার মাঝেই মানিকতলার ওসি দেবাশিস দত্ত বলেছিলেন, হামলা একেবারেই পরিকল্পিত। ঘৃণ্য হামলা হয়েছে। পুলিশ এরপরই তদন্তে নামে। প্রশ্ন ওঠে, হামলাকারীরা কি বেলগাছিয়ার? নাকি বাইরে থেকে এসেছিল?
এখনও অবধি পুলিশের গ্রেফতারির যে তালিকা, তাতে স্পষ্ট কলকাতার একাধিক জায়গা থেকে লোক এসেছিল সেদিন। এমনকী গঙ্গার ওপার থেকেও এসেছিল হামলাকারীরা। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা উল্টোডাঙা, ফুলবাগান, মানিকতলা, লেকটাউন, বরানগর, বেলঘরিয়া, জোড়াসাঁকো, চিৎপুর, হাওড়া বা এরকম আরও এলাকা থেকে এসেছে। এতেই প্রশ্ন উঠছে, কেউ বা কারা কি বিভিন্ন জায়গা থেকে এই জমায়েত তৈরি করেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা নাকি বলেছে, সকলকে দেখে আন্দোলনে এসেছিল। সকলকে ভাঙতে দেখেই তারাও ভাঙচুর করেছে। তবে তদন্ত চলছে।