
কলকাতা: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তৈরি হয়েছিল চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মঞ্চ। বিগত এক বছর ধরে এই মঞ্চ নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে সরব হয়ে আসছে। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই রাজনীতি করার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিলোত্তমার বাবা।
গত শনিবার মেয়ের সুবিচারের দাবির জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। সেই অভিযানে তৃণমূল বাদে বাকি সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে শনিবার দেখা গেল পতাকা ছাড়া একমাত্র বিজেপি-র একাংশ নেতা-নেত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে নবান্ন অভিযানে প্রথম সারিতে সামিল ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল এই বিষয়টিই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিলোত্তমার বাবা। কেন বাকি রাজনৈতিক দলগুলি উপস্থিত ছিল না সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি অভিযোগ করেন ডাক্তারদের প্রতিবাদ মঞ্চ নাকি রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, “আমরা তো সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার এসেছিলেন। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে সিপিএম-এর হয়ে রাজনীতি করছে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি SUCI আর CPM-কে বলেছিলাম আপনারা যোগ দেন, অন্য কোনও জায়গা থেকে যোগ দিন। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু তাঁরা সেটা শুনলেন না। সিপিএম-এর লোককেও খুব একটা দেখিনি।”
প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযান যে হবে সে কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর মুখে। এরপর , এরপর তিলোত্তমার মা-বাবা জানান, এটি একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচি। তবে শনিবার দেখা যায় এই কর্মসূচিতে বিজেপির আধিপত্য ছিল সব থেকে বেশি। উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর ঘোষ, অর্জুন সিংদের মতো তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব। আগেই SUCI-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “আমরা তাঁদের প্রতি সমব্যাথী। এর আগে আমাদের পূর্ণ সমর্থন ছিল ডাক্তাদের আন্দোলনে। বাদ বাকি কিছু কিছু আন্দোলন হচ্ছে যেখান অরাজনৈতিরক বলা হলেও তার চরিত্র পরিষ্কার থাকছে না। ডাক্তারদের সমস্ত আন্দোলনে আমরা থাকব কোনও ব্যানার ছাড়া।” অপরদিকে, এই অভিযানে না থাকার কথা আগেই জানিয়েছিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’।
তবে শনিবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’ উপস্থিত না থাকলেও, শুক্রবার তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত দখলের ডাক দেয় তারা। কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মশাল হাতে মিছিল করেন। শহরতলি জেলাতেও প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে।