কলকাতা: ভোরের কলকাতায় ফের পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। সল্টলেক স্টেডিয়ামের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাওয়ার সময় উল্টে যায় একটি ছোট কন্টেনার গাড়ি। চিংড়িঘাটা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোরের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন আচমকাই চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে কনটেনার গাড়িটি উল্টে যায়। সল্টলেক স্টেডিয়ামের দিক থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিল সেটি। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির গতি অতিরিক্ত থাকার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কনটেনার গাড়িটি উল্টে যায়। গাড়িটির গতি প্রায় আশি কিলোমিটার ছিল।
হঠাৎই ট্রাফিক সিগন্যাল লাল হয়ে যাওয়ায় একেবারে শেষ মুহুর্তে চালক ব্রেক কষেন। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চিংড়িঘাটা মোড়ে আড়াআড়ি উল্টে যায় গাড়িটি। চালকের হাতে ও পায়ে অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড। পরে তারা গাড়িটি সরিয়ে দেয়।
গত কয়েকমাসে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়। কারণ সেই বেপরোয়া গতি। সম্প্রতি চিংড়িহাটা এলাকায় গাড়ি উল্টে মারাত্মক জখম হন দু’জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় এক গাড়ি।গাড়িতে দুই তরুণী ও দুই যুবক ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হন প্রত্যেকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাইভেট গাড়িটি নিকোপার্কের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। ওই রাস্তায় নবদিগন্ত পার্কের সামনে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি।
তার কয়েকদিন আগেই নিকো পার্কের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরও একটি গাড়ি। কারণ সেই ওভারটেক। একটি প্রাইভেট গাড়ি উল্টে আহত হন পাঁচজন। অভিযোগ, দু’টি গাড়ির রেষারেষি এবং ওভারটেকের লড়াইয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে একটি প্রাইভেট গাড়ির রেষারেষির ফলেই দুর্ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। গুরুতর আহত অবস্থান পাঁচজনকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুমড়ে মুচড়ে যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি।
কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা চিংড়িঘাটা মোড় পর্যন্ত ইএমবাইপাসে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। কিন্তু চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে নেমে সেক্টর ফাইভ বা নিউটাউন যাওয়ার রাস্তায় এই স্পিড লিমিটার অমিল। এই রাস্তাটি আবার বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে। এখানে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় স্পিড লিমিটার নেই বলেই অভিযোগ। এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হচ্ছে চালকদের।
শনিবার ভোরেও কনটেনার গাড়িটি উল্টে যাওয়ার মূল কারণই হল অতিরিক্ত গতি। মূলত ভোরের দিকে এবং গভীর রাতে এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। পথ দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশের তরফে বার বার সচেতন করেও মিলছে না ফল।
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee Passes Away: “সুব্রতদা অস্বীকার করে চলে যাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়দা”