কলকাতা: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা নাগেরবাজার উড়ালপুলে। সোমবার দুপুরে এই উড়ালপুলে একটি বাইকে ধাক্কা মারে চার চাকার একটি গাড়ি। বাইক থেকে ছিটকে উড়ালপুলের নিচে পড়ে যান বাইক আরোহী এক মহিলা। বাইকের চালকও ছিটকে পড়েন উড়ালপুলের ভিতর। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকেই স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, সব রকম চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি ওই মহিলাকে। জানা গিয়েছে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। নিহত মহিলার নাম বিউটি বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, দমদম সেন্ট্রাল জেলের দিক থেকে লেকটাউনের দিকের ফ্লাইওভার ধরে যাচ্ছিলেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট সুভাষ নগর হেলথ ইন্সটিটিউট রোডের বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস (৩৬) ও তার স্ত্রী বিউটি বিশ্বাস (৩০)। সেই সময় একটি দ্রুত গতিতে আসা চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকে। অসীম বাইক চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন বিউটি।
স্বামীকে শক্ত করে ধরে বাইকে বসলেও চার চাকার গাড়ির বেপরোয়া গতি যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে সামাল দিতে পারেননি বিউটি। একেবারে ছিটকে গিয়ে পড়েন উড়ালপুলের নিচে। ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্ত। দক্ষিণ দমদমে কাজিপাড়ার কাছে উড়ালপুলের নিচে গিয়ে যখন বিউটি ছিটকে পড়েন, প্রথমটা হতচকিয়ে যান পথচারীরা। হঠাৎই কেউ এ ভাবে কোথা থেকে এসে পড়ল ভাবতেই পারছিলেন না তাঁরা। একজন মহিলা, মাথায় হেলমেট পরা। এরপরই শুরু হয় হইচই। ততক্ষণে উড়ালপুলে পড়ে কাতরাচ্ছেন অসীমও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী অমিত সাহার কথায়, “আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। দুপুর ২টো আড়াইটে হবে। আমার ব্যাঙ্কে একটা কাজ ছিল। শুনলাম ব্রিজের উপরে ভয়ঙ্কর একটা আওয়াজ হল। নিচেও একটা ঝুপ করে শব্দ। পিছনে ঘুরেই দেখি একজন মহিলা পড়ে রয়েছেন। মাথায় হেলমেট। পা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। হাত ধরে বুঝলাম জ্ঞান আছে। আমরা দেরী না করে একটা টোটোতে তুলে এখানকার হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাইক নিয়েই উড়ালপুলের উপরে যাই। ততক্ষণে পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। প্রশাসন এসে ওনার স্বামীকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ওই প্রত্যক্ষদর্শীই জানান, উড়ালপুলে উঠে তাঁরা যে ঘাতক চার চাকার গাড়িটি দেখেন, তার চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ গাড়িটি নিয়ে থানায় যায়। গাড়িটা লেকটাউন থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। বাইকটা এয়ারপোর্ট থেকে লেকটাউনের দিকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি ধাক্কা মারে গাড়িটি। অভিযোগ, ওই চার চাকার গাড়িটি এতটাই দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল যে কারণে সামাল দিতে পারেনি।
অসীম বিশ্বাসের নতুন বাজার এলাকায় মাংসের দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিকেলে অসীম বিশ্বাসকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁরও শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। এদিকে যে চার চাকার গাড়িটি ধাক্কা মারে, তাতে রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ছিল বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ির চালক কী ভাবে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলেন। যদিও গোটা ঘটনাই তদন্ত সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: Municipal Election: ‘দ্বিতীয় ডোজ়ের হার বেশি, কলকাতা-হাওড়ায় তাই আগে ভোট’! হলফনামায় জানাল রাজ্য
কলকাতা: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা নাগেরবাজার উড়ালপুলে। সোমবার দুপুরে এই উড়ালপুলে একটি বাইকে ধাক্কা মারে চার চাকার একটি গাড়ি। বাইক থেকে ছিটকে উড়ালপুলের নিচে পড়ে যান বাইক আরোহী এক মহিলা। বাইকের চালকও ছিটকে পড়েন উড়ালপুলের ভিতর। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকেই স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, সব রকম চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি ওই মহিলাকে। জানা গিয়েছে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। নিহত মহিলার নাম বিউটি বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, দমদম সেন্ট্রাল জেলের দিক থেকে লেকটাউনের দিকের ফ্লাইওভার ধরে যাচ্ছিলেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট সুভাষ নগর হেলথ ইন্সটিটিউট রোডের বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস (৩৬) ও তার স্ত্রী বিউটি বিশ্বাস (৩০)। সেই সময় একটি দ্রুত গতিতে আসা চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকে। অসীম বাইক চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন বিউটি।
স্বামীকে শক্ত করে ধরে বাইকে বসলেও চার চাকার গাড়ির বেপরোয়া গতি যখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে সামাল দিতে পারেননি বিউটি। একেবারে ছিটকে গিয়ে পড়েন উড়ালপুলের নিচে। ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্ত। দক্ষিণ দমদমে কাজিপাড়ার কাছে উড়ালপুলের নিচে গিয়ে যখন বিউটি ছিটকে পড়েন, প্রথমটা হতচকিয়ে যান পথচারীরা। হঠাৎই কেউ এ ভাবে কোথা থেকে এসে পড়ল ভাবতেই পারছিলেন না তাঁরা। একজন মহিলা, মাথায় হেলমেট পরা। এরপরই শুরু হয় হইচই। ততক্ষণে উড়ালপুলে পড়ে কাতরাচ্ছেন অসীমও।
এক প্রত্যক্ষদর্শী অমিত সাহার কথায়, “আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। দুপুর ২টো আড়াইটে হবে। আমার ব্যাঙ্কে একটা কাজ ছিল। শুনলাম ব্রিজের উপরে ভয়ঙ্কর একটা আওয়াজ হল। নিচেও একটা ঝুপ করে শব্দ। পিছনে ঘুরেই দেখি একজন মহিলা পড়ে রয়েছেন। মাথায় হেলমেট। পা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। হাত ধরে বুঝলাম জ্ঞান আছে। আমরা দেরী না করে একটা টোটোতে তুলে এখানকার হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাইক নিয়েই উড়ালপুলের উপরে যাই। ততক্ষণে পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। প্রশাসন এসে ওনার স্বামীকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
ওই প্রত্যক্ষদর্শীই জানান, উড়ালপুলে উঠে তাঁরা যে ঘাতক চার চাকার গাড়িটি দেখেন, তার চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ গাড়িটি নিয়ে থানায় যায়। গাড়িটা লেকটাউন থেকে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল। বাইকটা এয়ারপোর্ট থেকে লেকটাউনের দিকে যাচ্ছিল। মুখোমুখি ধাক্কা মারে গাড়িটি। অভিযোগ, ওই চার চাকার গাড়িটি এতটাই দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল যে কারণে সামাল দিতে পারেনি।
অসীম বিশ্বাসের নতুন বাজার এলাকায় মাংসের দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিকেলে অসীম বিশ্বাসকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁরও শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। এদিকে যে চার চাকার গাড়িটি ধাক্কা মারে, তাতে রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ছিল বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ির চালক কী ভাবে মদ্যপ অবস্থায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলেন। যদিও গোটা ঘটনাই তদন্ত সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: Municipal Election: ‘দ্বিতীয় ডোজ়ের হার বেশি, কলকাতা-হাওড়ায় তাই আগে ভোট’! হলফনামায় জানাল রাজ্য