Road Accident: খাস কলকাতায় রক্তে ভাসছে রাস্তা, পাশেই পড়ে হাঁটু থেকে কাটা পা! মায়ের বীভৎস পরিণতি দেখল ছেলে

Taratala: ১২সি বাসে তাঁর বোন উঠেও পড়েন। বাসের পাদানিতে অসীমাদেবী সবেমাত্র পা ফেলতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎই একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ।

Road Accident: খাস কলকাতায় রক্তে ভাসছে রাস্তা, পাশেই পড়ে হাঁটু থেকে কাটা পা! মায়ের বীভৎস পরিণতি দেখল ছেলে
এভাবে মাকে হারাবে ভাবতেও পারেনি ছেলে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2021 | 5:14 PM

কলকাতা: নিয়মিত যে বাসে অফিসে যাতায়াত করেন, সেই বাসে ওঠার আগেই প্রাণ গেল এক ফুড কর্পোরেশনের কর্মীর। অন্য একটি বাস ভুল দিক দিয়ে এসে ওই মহিলাকে পিষে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার সকালে তারাতলা থানা এলাকায় তারাতলা রোডের জেস্টনের কাছে ঘটনাটি ঘটে।

বাস ওঠার সময় অন্য একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে ধাক্কা মারে অসীমা হাতি (৫২) নামে ওই মহিলাকে। অসীমাদেবী ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার কর্মী ছিলেন। অসীমাদেবীর বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকার বিশালাক্ষ্মী তলায়। নিয়মিত জেস্টন থেকে জিঞ্জিরা বাজার অবধি ১২ সি বাসে যাতায়াত করতেন। এদিনও সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ অসীমাদেবী ও তাঁর বোন ১২ সি বাসে ওঠার জন্য জেস্টনের মোড়ে যান।

১২সি বাসে তাঁর বোন উঠেও পড়েন। বাসের পাদানিতে অসীমাদেবী সবেমাত্র পা ফেলতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎই একটি বাস বাঁ দিক থেকে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান। বাসের চাকার পিষ্ট হন তিনি বলেই দাবি স্থানীয়দের। ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই পড়ে যান। ডান পা হাঁটুর নীচ থেকে একেবারে আলগা হয়ে যায়। রক্তে ভেসে যায় চারপাশ। স্থানীয়রাই খবর দেন থানায়। অসীমাদেবীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় দু’টি বাস আটক করেছে পুলিশ। তবে চালকদের খোঁজ নেই।

নিহত অসীমা হাতির ছেলে বিশ্বরূপ হাতি বলেন, “মা অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে জেস্টনের সামনে যায়। জেস্টনে বাসে উঠবে বলে মা, মাসি দু’জনই একসঙ্গে ছিল। মাসি বাসে উঠেও পড়ে। মা সবেমাত্র বাসের সিঁড়িতে পা রেখেছে। সেই সময় কোনও একটা বাস ওভারটেক করতে গিয়ে মাকে পুরো শেষ করে দিল। বাসটা বাঁ দিক দিয়ে ওভারটেক করতে যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে আমার মাকে মারা হল। আমি খবর পেয়ে পিজি হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি মা আর নেই। বাসের গাফিলতিতেই আমি মাকে হারালাম। বাস দু’টো আটক করেছে তারাতলা থানার পুলিশ। কিন্তু চালকরা পলাতক। আমার মা ফুড কর্পোরেশনে কাজ করে। জেস্টন থেকে জিঞ্জিরিয়াবাজারে যায় যেহেতু, মা রোজ ১২ সি বাসে যাতায়াত করে। এদিন সেই চেনা রাস্তাতেই প্রাণটা চলে গেল।”

অন্যদিকে অসীমাদেবীর এক ভাই তাপস বাগ বলেন, “বাসটা রং সাইডে দাঁড়িয়েছিল। হাত দেখিয়ে উঠতে গিয়েছে। পিছন থেকে আরেকটা বাস এসে মেরে দিয়েছে। দুই দিদি ছিল। একজন উঠেও পড়ে বাসে। অন্যজন ওঠার আগেই মেরে দেয় বাসটা। আরেক দিদির ফোন পেয়ে আমরা সরাসরি পিজিতে চলে যাই।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Omicron Threat in Kolkata: আশঙ্কা সত্যি হলে ওমিক্রনে কতটা কাবু হতে পারে কলকাতা? স্পষ্ট করলেন চিকিৎসকরাই