Road Accident: পুলিশের ভ্যানে সজোরে ধাক্কা! গাড়ি গিয়ে পড়ল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে
Belgharia: ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দমদম থানার গাড়িটি ছিল। ধাক্কা এতটাই সজোরে ছিল গাড়িটি রাস্তা থেকে নীচে নেমে যায়।
কলকাতা: ফের সাত সকালে পথদুর্ঘটনা। এবার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। মঙ্গলবার সকালে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মাঠকল এলাকায় একটি ডাম্পার অপর একটি প্রাইভেট গাড়িতে ধাক্কা মারে। সেই গাড়ি টাল সামাল দিতে না পেরে সোজা দিয়ে ধাক্কা মারে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের গাড়িতে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রাইভেট গাড়িটির চালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দমদম থানার গাড়িটি ছিল। ধাক্কা এতটাই সজোরে ছিল গাড়িটি রাস্তা থেকে নীচে নেমে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরের দিক থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল ঝাড়খন্ডের নম্বরপ্লেট লাগানো একটি প্রাইভেট গাড়ি।
মাঠকল এলাকায় একটি ডাম্পার এসে ওই প্রাইভেট গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। সেই সময় দমদম থানার একটি পেট্রলিং ভ্যান সেখানে ছিল। প্রাইভেট গাড়িটি ওই পেট্রলিং ভ্যানে গিয়ে সোজা ধাক্কা দেয়। গাড়িটি এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পাশের নীচু ফাঁকা জায়গায় পড়ে যায়। তখন গাড়িতে এক পুলিশকর্মী ছিলেন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান তিনি।
তবে আঘাত গুরুতর হয় ওই প্রাইভেট গাড়ির চালকের। তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এদিকে এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে। তৈরি হয় যানজট। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গাড়ির গতি অনেকটাই ধীর। দু’টি গাড়িকেই আটক করে দমদম থানার পুলিশ।
সম্প্রতি ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮ জন শ্মশানযাত্রী। মৃতদেহ সত্কার করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার পারমাদন এলাকার বাসিন্দা শিবানি মুহুরীর মৃত্যুর পর ঠিক হয়, সত্কার করা হবে পাশের জেলা নদিয়ার নবদ্বীপে। সেই মতো রাতেই আত্মীয়, পরিজন, গ্রামবাসী মিলিয়ে পঁচিশ-ছাব্বিশজন মৃতদেহ নিয়ে মালবাহী গাড়িতে সত্কারের জন্য রওনা হন। এরপরই নদিয়ার ফুলবাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই শববাহী গাড়ি।
রাজ্য় সরকার তথা কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে পথদুর্ঘটনা রুখতে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে প্রচার বাড়ানো হয়েছে। রাতের দিকে বা ভোরের দিকে যেহেতু বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে তাই চালকরা যাতে সজাগ থাকেন, সে কারণে মানবিক পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক-লরি দাঁড় করিয়ে চালকদের চা খাওয়াচ্ছেন এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন গতিই বার বার বিপদের খাঁড়া নামিয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: TMC-MGP Ally: সাগরতীরে শক্ত হচ্ছে ঘাসফুলের শিকড়, গোয়ায় এমজিপির সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী জোট তৃণমূলের