কলকাতা: এমনিতেই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল বাড়িটি। তার উপর গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ। রবিবার দুপুরে কড়েয়ায় ঘরের ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল এক মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ভগ্নাবশেষ থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে।
সকালের দিকে রোদের ঝলক দেখা গেলেও বেলা বাড়তেই ফের কলকাতার বড় অংশ মেঘে ঢাকা। কড়েয়ার বাসিন্দা জসবিন্দর কউর ঘরে বসে জামা কাপড় ইস্ত্রি করছিলেন। হঠাৎই স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনতে পান। ছুটে এসে দেখেন জসবিন্দরের ঘরের ছাদ সম্পূর্ণ ভাবে ধসে গিয়েছে। তারই মধ্যে থেকে ভেসে আসছে গোঙানির শব্দ। পড়শিরাই প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। কোনও ক্রমে ভেসে পড়া ছাদের টুকরো সরিয়ে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ।
জসবিন্দরের বাড়ির পাশেই তাঁর ভাসুরের বাড়ি। ভাসুরের ছেলের কথায়, “বাড়িতে শুয়েছিলাম। হঠাৎ ঝুপ করে একটা বীভৎস শব্দ কানে এল। দৌড়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে দেখি কাকিমার ঘরের ছাদ ভেঙে পড়ে। কাকা, ভাই কেউই সেই সময় বাড়িতে ছিল না। আমি চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনকে ডাকি। সকলে মিলে কাকিমাকে উদ্ধার করি।” ইস্ত্রি করার সময় আস্ত ছাদ ভেঙে পড়ে ওই মহিলার উপর!
মৃতের ভাসুরের ছেলের অভিযোগ, এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছে। প্রোমোটিংয়ের জন্য একজনের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গত ৬-৭ বছর ধরে প্রোমোটার বাড়িতে হাতই দিচ্ছেন না। ফলে এ ভাবেই বিপদ মাথায় নিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। রবিবার সেই বিপদই মাথায় ভেঙে পড়ল। জসবিন্দরের পাশের বাড়িগুলির অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। প্রমোটারের গাফিলতিতেই মৃত্যুকে সঙ্গী করে তাঁদের থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন: ফের দুর্যোগের সঙ্কেত! সপ্তাহের শুরুতেই ‘ঘূর্ণাবর্ত’, কোন কোন জেলার বিপদ জানাল হাওয়া অফিস