
কলকাতা: চতুর্থীর সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পোস্ট ঘিরে শোরগোল। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সজল ঘোষ লেখেন, “পুজো বন্ধ করার প্ল্যান চূড়ান্ত। জনমতই একমাত্র পথ।” বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলরের অভিযোগ, চক্রান্ত করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তার পিছনে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টেও সেটাই লিখেছেন। যেভাবে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর জুড়ে পুলিশ যত্রতত্র ব্যারিকেড করে দিয়েছে, আর সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি।
তার জেরে দর্শনার্থীরা এই পুজোর মণ্ডপে আসতে পারছেন না। ওই এলাকায় গাড়ি ঢুকতে পারছে না। তাঁর অভিযোগ, দর্শনার্থীরা বিরক্ত হয়ে যাতে মণ্ডপ থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পথ ধরেন, তার জন্যই এই প্রয়াস। ফেসবুকে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের করে দেওয়া বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙেই দর্শনার্থীরা প্রবেশের চেষ্টা করছেন।
TV9 বাংলাকে সজল ঘোষ বলেন, “পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে দিয়েছে। মাঠের গেট পর্যন্ত গাড়ি চলে আসছিল। সাংবাদিকরাও ঢুকতে পারবে না। শিয়ালদহের কোনও জায়গা থেকে লোক আসতে পারছে না। যাঁরা ব্যারিকেড গলে বেরিয়ে আসছেন, তাঁরাই কেবল ঢুকতে পারছেন। ওরা বন্ধ করবে না, ওরা ফোর্স করবে, যাতে বন্ধ হয়ে যায়।”
উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর থিম এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’। সামাজিক মাধ্যমে এই মণ্ডপের থিমের একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসছে। সজল ঘোষ প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন, পুলিশ তাঁকে একাধিকবার নোটিসও পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, সাগরের একটি পুজোর থিম অপারেশন সিঁদুর করা হয়েছিল। পুজো উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপে তাঁরা পুজো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে পুজো কমিটি। মণ্ডপের প্রবেশ পথের মাটির একাংশ বসে গিয়ে বিপত্তি। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে খবর।