কলকাতা: সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার খুলে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা প্রতারণা অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেক্টর ফাইভে অফিস খুলে বিদেশি নাগরিকদের মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ডাটা লিস্ট তৈরি করে, সেই লিস্ট ধরে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে বিদেশি নাগরিকদের ফোন করাত অভিযুক্তরা। বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ভাবে টাকা লেনদেন হত। পরবর্তী সময়ে সেই বিদেশি মুদ্রা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে চলে আসত। এমনটাই পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। প্রতারণা চালানোর জন্য বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করা হত। সেই সকল ডিভাইসগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে সাইবার শাখার পুলিশ।
পরপর ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে কলকাতায়। এর আগে তারাতলা থেকে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে। মাস খানেক আগে ওই এলাকায় এক বহুতলে অভিযান চালায়। ওয়েবেল আইটি পার্কের সেই বহুতলের তিন তলার একটি ঘরে হানা দিয়ে রীতিমতো চমকে যান পুলিশের দুঁদে কর্তারা। শহরের বুকে একেবারে সাজিয়ে খোলা হয়েছিল ভুয়ো কলসেন্টার। সাজানো ছিল একাধিক কম্পিউটার, উচ্চমানের গ্যাজেসট। একাধিক টেলিফোন ছিল। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানতে পারে এলাকায় আরও একটি কল সেন্টার রমরমিয়ে চলছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ।
কিছুদিন আগেই বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেক্টর ফাইভে দুটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায়। সেখানে চলে রাতভর তল্লাশি। দশ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু ডিভাইস ও নগদ টাকা। নিউটাউনের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়েও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিউটাউন ‘গ্রিন উড এক্সটেনশন’ বিল্ডিংয়ে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই চলছিল প্রতারণা চক্র। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা কমলেশ কুমার আর্য-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। পার্কস্ট্রিটে এ ভাবেই ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানেও কম্পিউটার সারানো কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটস সারানোর নাম করে প্রতারণার জালে ফেলা হত। বিদেশিদের টেক সাপোর্টের নাম করে এই প্রতারণা চলত বলে জানা গিয়েছে।