Samik Bhattacharya on TMC Clash: ‘অভিষেকের মন্তব্যের বিরোধিতা প্লান্টেড’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 15, 2022 | 5:22 PM

Kolkata: তৃণমূলের অন্দরে ‘কল্যাণ’ অস্বস্তিকে কেন্দ্র করে থামেনি দলীয় কোন্দল। শুক্রবারই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূলের যুবনেতা ও কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন

Samik Bhattacharya on TMC Clash: অভিষেকের মন্তব্যের বিরোধিতা প্লান্টেড
শমীকের প্রতিক্রিয়া, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: বিতর্কের অবসান নেই। যতই সতর্কবার্তা দেওয়া হোক শাসক শিবিরের অন্দরের বিক্ষোভ থামছে না কিছুতেই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। এদিকে অভিষেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় কল্যাণের বিপক্ষে সওয়াল করেছেন দলেরই একাংশ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। গোটাটাই শাসক দলের ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি পদ্ম শিবিরের (BJP)।

শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের অন্তদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। অভিষেকের  মন্তব্যের বিরোধিতা  পুরোটাই তৈরি করা। প্লান্টেন্ড। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এত খারাপ। মানুষের মনটা ঘোরাতে হবে তো! কোভিড থেকে মন ঘোরাতে এই পরিকল্পনা তৃণমূলের।” তাঁর আরও সংযোজন, “তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের কী অবস্থা সেই দিক থেকে মানুষের মন ঘুরিয়ে দিতে কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে।”

কেবল শমীক নন, বিজেপির সর্বভারতীয় হ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “অপরূপা পোদ্দা হন, বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়, এটাই ওদের কালচার। ”

প্রসঙ্গত,  তৃণমূলের ‘কল্যাণ’ অস্বস্তি নিয়ে প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বর্ষীয়ান সাংসদের কথায়, “কল্যাণ লোকটা খাঁড়া লোক। সোজা কথা বলে। ওঁ যা বলেছে তা থেকে স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইন্ধন ছাড়া এমন কথা কল্যাণ বলতে পারেন না। খুব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

বিতর্ক কোথায়? 

পুরভোট নিয়ে  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া আর কাউকে তিনি নেতা মানেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্ব প্রমাণ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের চিফ হুইপ। এদিকে, কল্যাণের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলের অন্যান্য নেতৃত্ব থেকে সাংসদরা। কুণাল ঘোষ থেকে অপরূপা পোদ্দার এমনকী কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, কল্যাণ বিরোধিতার তালিকায় বাদ নেই কেউ।

তৃণমূলের অন্দরে ‘কল্যাণ’ অস্বস্তিকে কেন্দ্র করে থামেনি দলীয় কোন্দল। শুক্রবারই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূলের যুবনেতা ও কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন। সেই পোস্টে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘জনগণের কল্যাণ না করতে পারলে বিশ্রাম নিন’। কোথাও বা লেখা হয়েছে, ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়’। মূলত, অভিষেককে ‘আইডল’ বলে মনে করা যুব নেতৃত্বের কাছে বর্ষীয়ান সাংসদের এই মন্তব্য  কার্যত বিরুদ্ধাচারণ। তাই, ক্ষোভে কল্যাণের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন তাঁরা। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: ‘জল খাবে কিন্তু ঘোলা করে খাবে, কে খাবে সবাই জানি’

 

Next Article