AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandannagar Municipal Election: ‘জল খাবে কিন্তু ঘোলা করে খাবে, কে খাবে সবাই জানি’

Dilip Ghosh on Municipal Elections 2022: করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক, এই দাবি তুলে বরাবর সরব হয়েছে বিরোধীরা। পুরভোট যেহেতু রাজ্য নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে তাই প্রথামাফিক সেই ভোট নিয়ে চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়।

Chandannagar Municipal Election: 'জল খাবে কিন্তু ঘোলা করে খাবে, কে খাবে সবাই জানি'
দিলীপের কটাক্ষ, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 2:13 PM
Share

হুগলি: পুরভোট পিছোতে অবশেষে সায় দিয়েছে রাজ্য। নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) চিঠি দিয়ে সেকথাই জানানো হয়েছে।আদালতের নির্দেশের পরই রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরই শনিবার চিঠি দেয় নবান্ন। চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত তারা। তবে ভোট পিছোলেও আপত্তি নেই। শনিবার দুপুরেই কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোট পিছনোর ঘোষণা করবে বলে খবর সূত্রের । আর এ বার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

প্রচারে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, “জল খাবে কিন্তু ঘোলা করে খাবে। কে খাবে আমরা তা সবাই জানি। মানুষের চিন্তা নেই, রাজনীতির আর ভোটের চিন্তা।  আজকে আদালতের থাপ্পড় খেয়ে ভোট পিছোতে বাধ্য হচ্ছে।  আমরা এখনও বলছি ভোট পিছিয়ে দিন।” তাঁর আরও সংযোজন, “পশ্চিমবঙ্গ এখন করোনাতে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সরকারের মাথায় ঢুকেছে ক্ষমতা দখল করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে চালাচ্ছে। আদালত পরিস্থিতি বুঝেই রায় দিয়েছে।”

প্রসঙ্গত,  করোনা পরিস্থিতিতে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক, এই দাবি তুলে বরাবর সরব হয়েছে বিরোধীরা। পুরভোট যেহেতু রাজ্য নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করে তাই প্রথামাফিক সেই ভোট নিয়ে চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণার আগে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই ভোট ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বারও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই ভোট ঘোষণা করা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগম আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর ও শিলিগুড়িতে ভোটের দিন ঠিক হয়। এদিকে, কোভিড পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই বিরোধীরা ভোট পিছোনোর দাবিতে সরব হয়। ভোট পিছোনোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

অবশেষে, শনিবার, নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে সক্ষম সরকার। তবে, এই পরিস্থিতিতে ভোট পিছোলেও আপত্তি নেই। নবান্নের চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এটা তো অবধারিতই। এটা না করলে তো নিজেদের মুখ রক্ষা হবে না। তাই এখন চিঠি দিয়েছে।”

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কথায়, “প্রথম দিন থেকেই আমি বলেছি এই ভোট নির্ভর করছে রাজ্যের উপরে। রাজ্য মনে করলে ভোট করতে পারে। রাজ্য মনে করলে ভোট না করাতে পারে। মাঝখান থেকে নির্বাচন কমিশনকে এগিয়ে দিয়ে বলি পাঁঠা করার কোনও মানেই নেই। নির্বাচন কমিশন বাংলায় দাঁতহীন, নখহীন একটা বাঘের মতো। সে কারণেই হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: TMC Clash: ‘প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না’, সকল তৃণমূল সাংসদদের সতর্কবার্তা