AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Clash: ‘প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না’, সকল তৃণমূল সাংসদদের সতর্কবার্তা

Kolkata: সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই সতর্কবার্তা সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে পাঠিয়েছিলেন সুদীপ। পরে জানা যায়, ওই সতর্কবার্তা সকলকে পাঠানো হয়েছে।

TMC Clash: 'প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না', সকল তৃণমূল সাংসদদের সতর্কবার্তা
তৃণমূলের সকল সাংসদকে সতর্কবার্তা, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2022 | 10:17 AM
Share

কলকাতা: থামছে না বিতর্ক। শাসক শিবিরের অন্দরের ক্ষোভ ক্রমেই আসছে প্রকাশ্যে। সদ্যই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মতামত’-এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ছাড়া আর কাউকে তিনি নেতা মানেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্ব প্রমাণ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের চিফ হুইপ। এদিকে, কল্যাণের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলের অন্যান্য নেতৃত্ব থেকে সাংসদরা। এ বার, দলীয় সাংসদদের উদ্দেশ্যে কড়া সতর্কবার্তা দিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)।

সূত্রের খবর,  তৃণমূলের বেশ কিছু সাংসদ কল্যাণের বিরুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নেন। সেই বিষয়টি সুদীপবাবুর নজরে আসতেই তিনি সব সাংসদকেই এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। হোয়াটস্যাপে একটি সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়। তাতে স্পষ্ট বলা হয়, ‘প্রকাশ্যে মুখ খুলে তাতে বিতর্ক তৈরি করা যাবে না।’ পাশাপাশি আরও বলা হয়, দলের অন্দরের বিরোধ দলেই মেটাতে হবে।

সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ওই সতর্কবার্তা সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে পাঠিয়েছিলেন সুদীপ। পরে জানা যায়, ওই সতর্কবার্তা সকলকে পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, কোনওরকম চিঠি তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাঠানো যাবে না। দলের বিরুদ্ধে বা দলের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলা যাবে না। এই প্রসঙ্গে যদিও তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউই এখনও পর্যন্ত কোনও ফোন ধরেননি।

বস্তুত, বিরোধের সূত্রপাত শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে। অভিষেকের নিজ সংসদীয় এলাকায় কোভিড মোকাবিলায় বিশেষ কিছু পদক্ষেপ ভাল চোখে দেখেননি কল্যাণ। পাশাপাশি, পুরভোট প্রসঙ্গে, অভিষেক নিজের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে কোনও নির্বাচন বা মেলা হওয়া উচিত নয়।”  অভিষেকের এই মন্তব্যেরই বিরোধিতা করেছেন কল্যাণ। তিনি স্পষ্টই জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে কেউ কোনও ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারেন না। পাল্টা, অভিষেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় মুখ খুলেছেন দলের একের পর এক নেতা। কল্যাণের বিরুদ্ধে মত প্রকাশে,  সাংসদ অপরূপা পোদ্দার থেকে বিধায়ক মদন মিত্র বা কুণাল ঘোষ, বাদ নেই কেউ। একপ্রকার টুইট যুদ্ধে নামেন কুণাল-কল্যাণ।

এদিকে, তৃণমূলের অন্দরে ‘কল্যাণ’ অস্বস্তিকে কেন্দ্র করে থামেনি দলীয় কোন্দল। শুক্রবারই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য তৃণমূলের যুবনেতা ও কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন। সেই পোস্টে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘জনগণের কল্যাণ না করতে পারলে বিশ্রাম নিন’। কোথাও বা লেখা হয়েছে, ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়’। মূলত, অভিষেককে ‘আইডল’ বলে মনে করা যুব নেতৃত্বের কাছে বর্ষীয়ান সাংসদের এই মন্তব্য  কার্যত বিরুদ্ধাচারণ। তাই, ক্ষোভে কল্যাণের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হচ্ছেন তাঁরা। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on COVID19: ‘ওরা খারাপ করলে, নিয়ম ভাঙলে আমরাও তাই করব না’