কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই ভাঙড়ের আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তৃণমূলে যাচ্ছেন কি না তাই নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। বিরোধীরা সেই আগুনেই ইতিমধ্যেই ঘি ঢেলেছে। এরপর সোমবার দেখা গেল বিধান সভার অধিবেশন কক্ষের ভিতরেই নওশাদের কাছে গেলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। আস্তে-আস্তে কী প্রশ্ন করলেন সে কথাই এ দিন টিভি ৯ বাংলাকে জানিয়েছেন শওকত।
বস্তুত, ভাঙড়ে শওকত ও নওশাদের দ্বন্দ্ব প্রত্যেকের জানা। দুই নেতাই একে অপরকে কটাক্ষ করেন হামেশাই। গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ তোলেন একে অপরের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই আবার নওশাদের তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছে। সত্যিই যদি এই যোগদান হয় তাহলে কি মেনে নেবেন শওকত? আজ এমনই প্রশ্ন করা হয় টিভি ৯ বাংলার তরফে। তবে ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের সাফ উত্তর,”দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেব।” অর্থাৎ দলের উপরে তিনি কোনও মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন।
এক সময় এই শওকতকেই বলতে জঙ্গি তকমা দিতে দেখা গিয়েছিল নওশাদকে। এখন সেই আইএসএফ বিধয়ক যদি তৃণমূলে আসেন তাহলে অসুবিধা হবে। এর উত্তরও শওকত হেসে দিয়েছেন। পরিষ্কার বলেছেন , “দলই সব।” তাই কি আজ নওশাদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন শওকত?
কারণ, বিধানসভায় যে দিকে শওকত বসেন তাঁর থেকে খানিক দূরেই আসন রয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির। সূত্রের খবর, এ দিন শওকত উঠে যান নওশাদের কাছে। আলাদা করে কথা বলেন। প্রশ্ন করেন নওশাদকে, “ইফতারে যাবে তো?” বিধায়কের দাবি, নওশাদ নাকি উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, “হ্যাঁ যাব।”