কলকাতা: চেয়েও যেন বিতর্কের থেকে বাইরে থাকতে পারছেন না সৌমিত্র খাঁ। এ বার যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কাণ্ডে ফের শিরোনামে এলেন তিনি। সূত্রের খবর, এক মহিলাকে যুব মোর্চায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া নিয়ে বাকিদের তোপের মুখে পড়েন যুব মোর্চা সভাপতি। একসময় মেজাজ হারিয়ে ওই গ্রুপ থেকে বেশ কয়েকজনকে বাদও দিয়ে দেন সৌমিত্র। যুব মোর্চা সভাপতির সঙ্গে বাকিদের কোন্দল মেটাতে আপাতত দিলীপ ঘোষ হস্তক্ষেপ করেছেন বলে খবর বিজেপি সূত্রে।
ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্রের খবর, দিনদুয়েক আগেই মৌমিতা সাহা নামক এক মহিলাকে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করেন সংগঠনের সভাপতি। গত বছর দুয়েক ধরে তিনি যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত। সৌমিত্র চান তাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা হোক। কিন্তু মোর্চার পুরনো কর্মীরা এই নিয়ো ঘোর আপত্তি তোলেন। সৌমিত্রকে উদ্দেশ্য করে অনেকে অশোভন উক্তি করেন বলেও অভিযোগ। এই ভাবে যুব মোর্চা চালানোয় সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকে প্রকাশ্যে লিখতে থাকেন। সমালোচনার ঝড় ওঠে ওই গ্রুপেই। এরপরই যুব মোর্চার জনাকয়েক সদস্যকে গ্রুপ থেকে সরিয়ে দেন সৌমিত্র।
গোটা ঘটনার অভিঘাত পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত। তিনি মৌমিতা সাহার নিয়োগ আপাতত স্থগিত রেখেছেন বলে খবর সূত্রের। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে। তবে সৌমিত্র যেভাবে একাধিক ইস্যুতে বারবার বিতর্কে নিজের নাম জড়াচ্ছেন, সেটা মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছেন না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমনটাই খবর সূত্রের।
এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বিষ্ণুপুরের সাংসদ পালটা সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি দাবি করেন, “এটা আনঅফিশিয়াল একটা গ্রুপ। যারা মিডিয়ার কাছে এসব পৌঁছে দিচ্ছে, তাঁদের ভূমিকা আসলে কী আমি জানি না। এতে বিতর্কের কোনও ব্যাপার নেই। সংবাদ মাধ্যমে সবসময় এই সব নিয়ে লেখালেখি থাকবেই। আমাদের অনেক গ্রুপ আছে। ওখানে অনেক সময় কেউ লেখে, কেউ লেখে না। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে হবে সব তার কোনও মানে নেই। আমরা দিলীপদা জানিয়েছি।” আরও পড়ুন: উপরে বাস, নীচে মেট্রো, গড়করীর কাছে ‘ত্রি-টায়ার’ চাইলেন মমতা, সঙ্গে কিছু ফ্লাইওভার