AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alapan Bandyopadhyay: নিরাপত্তা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, হুমকি-চিঠির পরই পরিকল্পনা

Alapan Banerjee: গত মঙ্গলবার আলাপনবাবুর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তা পাঠানো হয় আলাপনবাবুর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্বোধন করে।

Alapan Bandyopadhyay: নিরাপত্তা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, হুমকি-চিঠির পরই পরিকল্পনা
কেন্দ্রের মামলা স্থানান্তরের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2021 | 11:03 PM
Share

কলকাতা: নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee)। সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি এই নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টি নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হবে। যেহেতু আলাপনবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা, স্বভাবতই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। একই সঙ্গে আলাপন  হুমকি চিঠির  অভিযোগের তদন্তভার নিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর প্রশাসনিক দূরদর্শিতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতার কারণে আলাপনবাবুর অবসর গ্রহণের পর তাঁকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান তিনি। এবার তা বাড়ানো হতে চলেছে বলে খবর। তবে এই নিরাপত্তা বেড়ে ওয়াই প্লাস নাকি জেড ক্যাটাগরির হবে তা সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।

মূলত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। গত মঙ্গলবার আলাপনবাবুর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তা পাঠানো হয় আলাপনবাবুর স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্বোধন করে। এই সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

এক লাইনের ওই হুমকি চিঠিতে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘ম্যাডাম আপনার স্বামীকে মারা হবে। কেউ আপনার স্বামীকে বাঁচাতে পারবে না।’ চিঠিতে সই রয়েছে জনৈক গৌরহরি মিশ্রের। কেয়ার অব মহুয়া ঘোষ। সম্ভবত এই মহুয়া ঘোষ রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগে কর্মরত।

এই ঘটনার পরই হেয়ার স্ট্রিট থানায় মামলা রুজু করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা, ৪১৯ ধারায় প্রতারণা, ১৭০ ধারায় সরকারি পরিচয় ব্যবহার করে কোনও কাজ, ৫০৬ ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তও শুরু করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে মহুয়া ঘোষ বলেন, “এটা তো আমাদেরও প্রশ্ন, আমার নাম কেন, কিংবা গৌরহরির নামেওবা কেন! এটা পুলিশই তদন্ত করবে। তদন্তে সত্যি প্রকাশিত হলে আমিও একটু নিশ্চিন্ত হব।” এই গৌরহরি হচ্ছেন ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট। পার্মানেন্ট নন, প্রজেক্টের টাকায় তাঁর বেতন হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই গৌরহরির নামে এর আগেও সংশ্লিষ্ট বিভাগে নানা রকম চিঠি এসেছে। কিন্তু সেগুলিকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে কলেজ দেখেনি। কিন্তু এবার তেমনটা হয়নি।

সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের সায়েন্স সেক্রেটারিকেও। পুলিশের হাতেও এই চিঠির প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়টি হালকা ভাবে নেয়নি রাজ্য সরকার বা কলকাতা পুলিশ। যদিও এ নিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন: Containment Zone in Kolkata: বড় খবর! এবার কলকাতাতেও কনটেনমেন্ট জ়োন!

আরও পড়ুন: Dengue: শহরে আরও এক প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু, সাবধান হোন! শক্তি বাড়াচ্ছে নয়া ‘আপদ’