Containment Zone in Kolkata: বড় খবর! এবার কলকাতাতেও কনটেনমেন্ট জ়োন!
Covid 19: সোনারপুর রাজপুরের মানুষের এদিকে আসা আটকাতে লাগোয়া সাত-আটটি ওয়ার্ডের সীমানা এলাকাকে কনটেনমেন্ট করতে হচ্ছে।
কলকাতা: এবার কলকাতা পুরসভার (KMC) সাত-আটটি ওয়ার্ডের বিশাল এলাকাকে কনটেনমেন্ট জো়ন (Containment Zone) করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। কলকাতায় এই মরসুমে প্রথম কনটেনমেন্ট জো়ন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। এর মধ্যে রয়েছে ৯৭, ১০০, ১০৯, ১১০, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকা।
মূলত এই প্রত্যেকটি ওয়ার্ড সোনারপুর রাজপুর পুর এলাকা সংলগ্ন। মারাত্মক হারে এই রাজপুর সোনারপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। কিছুদিন আগেই এখানকার ১, ৬, ২৯, ৩১, ৩২, ১১, ১২, ১৫, ১৬, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এবার এই রাজপুর সোনারপুর সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের সীমানা এলাকাকে কনটেনমেন্ট জো়ন করার সিদ্ধান্ত নিলেন পুর প্রশাসক।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, সোনারপুর রাজপুর থেকে বহু মানুষ এদিকে আসছেন। সোনারপুর রাজপুরের মানুষের এদিকে আসা আটকাতে লাগোয়া সাত-আটটি ওয়ার্ডের সীমানা এলাকাকে কনটেনমেন্ট করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “অনেকে এই ওয়ার্ডগুলিতে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তাই শুধু কনটেনমেন্ট নয়, মাইক্রো কনটেনমেন্ট জো়ন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি আমি।”
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে রয়েছে বৃজি, পঞ্চসায়র, আনন্দপুরের মাদুরদহ, মুকুন্দপুর, কালিকাপুর, বাঁশদ্রোনী, রেনিয়া, আতাবাগান, বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “রাজপুর সোনারপুর জায়গাটায় সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। ওখানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় কনটেনমেন্ট জো়ন করব। যেখানে, যে সমস্ত জায়গায় করোনার প্রকোপ বেশি সেখানে আমরা বিশেষ নজরদারি চালাব। প্রয়োজনে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন করে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১১১, ৯৭ ওয়ার্ডগুলি থাকবে সে তালিকায়।”
পুজো মিটতেই সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে এ রাজ্যে। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র কলকাতাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ২৭৫। মঙ্গলবার ও বুধবার মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন যথাক্রমে ২৭২ ও ২৪৮। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলি থেকে অনেকে নিজেদের ঠিকানা দিচ্ছেন কলকাতা বলেই। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবে এই পরীক্ষাগুলি হয়েছে। পরে আক্রান্ত বা তাদের পরিবারকে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে আসল ঠিকানা যাচাই করা হয়। তারপর জেলাগুলির পুনরায় ম্যাপিং হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
যদিও খুব তাড়াতাড়ি এই সংক্রমণে আবার লাগাম পরানো যাবে বলেই আশাবাদী পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র। সুদীপ্ত মিত্রের কথায়, “পুজোর কেনাকাটায় ভিড়, পুজোর সময় ভিড়। সেটার রেশ মোটামুটি দু’ সপ্তাহ মতো চলবে। আমরা আশাবাদী এটা কেটে যাবে। কালীপুজোর পর হয়তো সংখ্যাটা কমবে। তবে তা যদি না কমে তা হলে কিন্তু অনেকটাই বেড়ে যাবে। নতুন কোনও স্ট্রেন এসে গেলে উদ্বেগের।”
অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট সৌগত ঘোষের বক্তব্য, “সামনেই কালীপুজো। এরপর জগদ্ধাত্রী, ছট নানা উৎসব আছে। তবে আমাদের কিন্তু সতর্ক থাকতেই হবে।”
আরও পড়ুন: Covishield vaccine: স্বস্তির খবর, একদিনে রেকর্ড সংখ্যক কোভিশিল্ডের ডোজ় এসে পৌঁছল রাজ্যে