Nusrat Jahan: ‘বারবার বলছি আমাদের কোম্পানি ওকে কোনও লোন দেয়নি’, নুসরতের দাবি ওড়ালেন রাকেশ
Nusrat Jahan: ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিলেও আমানতকারীদের দেওয়া হয়নি ফ্ল্যাট। সে কথা আগেই স্বাকীর করেছিলেন রাকেশ।
কলকাতা: তাঁর মাথায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার টাকায় ফ্ল্যাট কেনারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা বিখ্যাত অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ঝটিকা সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত (Nusrat Jahan) দাবি করেছেন, সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর তিনি ছিলেন। কিন্তু, গ্রাহকের ফ্ল্যাট না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগে তিনি সেই পদ ছেড়েছেন। একইসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে সাফ বলেছিলেন, “সংস্থা থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। সেই ঋণ আমি সুদ সমেত ফেরত দিয়েছি। আমার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে তার উল্লেখ রয়েছে।” কিন্তু, নুসরতের করা দাবি সম্পূর্ণ ভুল। ঋণ নেওয়ার যে কথা তিনি বলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিং।
টিভি-৯ বাংলায় দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন রাকেশ। তিনি বলছেন, “আমি বারবার বলছি আমাদের কোম্পানি নুসরত জাহানকে কোনও লোন দেয়নি। ও পদত্যাগ করেছিল ২০১৭ সালে। তারপর থেকে ৬ বছরে ওঁর সঙ্গে আমাদের কোনও কমিউনিকেশন নেই। ও ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করেছিল। তাই ওর দায়িত্ব তো একটা রয়েছে। ও সেলিব্রিটি, সাংসদ। ওর একটা নিজস্ব নেটওয়ার্ক রয়েছে। নিজস্ব পরিকাঠামো রয়েছে। ও যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে।”
এখানেই না থেমে উনি আরও বলেন, “ও যে না বুঝে অনেক কথা বলে আমি সেটা জানি। আর হিসাব-নিকেশের ব্যাপারে ও খুবই দুর্বল। ওর উচিত ছিল নিজের লেনদেনের বিষয়ে আরও একটু দেখে নেওয়া।” তবে এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন নুসরত অভিযোগকারীদের টাকায় ফ্ল্যাট কেনেননি। তিনি বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের যে ফ্ল্যাট প্রতারণার টাকায় কেনা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল। নুসরত জাহান ঋণ নিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।” এদিকে রাকেশের ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিলেও আমানতকারীদের দেওয়া হয়নি ফ্ল্যাট। সে কথা আগেই স্বাকীর করেছিলেন রাকেশ। সাফ জানিয়েছিলেন, ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে অভিযোগকারীদের। কিন্তু, ইতিমধ্য়েই ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।