BJP in West Bengal: জয়প্রকাশের বাড়িতে ‘গোপন’ বৈঠকে ‘অভিমানী’ প্রতাপ, সমীরণরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 04, 2022 | 8:24 PM

Jayprakash Majumder: বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা করতে চলে যান দলীয় নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টা দু'য়েক জয়প্রকাশের অফিসে ছিলেন তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে গেলেন, 'চা খেতে এসেছিলাম'।

BJP in West Bengal: জয়প্রকাশের বাড়িতে গোপন বৈঠকে অভিমানী প্রতাপ, সমীরণরা
জয়প্রকাশের বাড়ির বাইরে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা : অস্বস্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP)। একের পর এক নেতা বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করছেন। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন বনগাঁর পদ্ম সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বঙ্গ বিজেপির কমিটিতে মতুয়াদের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব না থাকায় দলের একাংশের উপর বেশ অসন্তুষ্ট তিনি। আর এরই মধ্যে বিজেপি নেতাদের ‘গোপন’ বৈঠক। মঙ্গলবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাড়িতে দেখা করতে চলে যান দলীয় নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক জয়প্রকাশের অফিসে ছিলেন তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলে গেলেন, ‘চা খেতে এসেছিলাম’।

জয়প্রকাশের বাড়িতে ‘গোপন’ বৈঠক

প্রায় ঘন্টা দু’য়েক জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা হয় প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়ের। বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রতাপবাবু বলেন, “মিটিং কিছু নেই। কারও বাড়ি কেউ যাবে না? কোনো বিষয় নিয়ে কথা নেই। সন্দেহের কিছু নেই, চা খেতে এসেছিলাম।”

বিকেলের এই ‘গোপন’ বৈঠক প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমীরণ সাহা দু’জনেই বিজেপি কর্মী গত ৩০ – ৩৫ বছর ধরে। বর্তমানে রাজ্য বিজেপিতে সব থেকে পুরোনো কার্যকর্তা বলতে বোধ হয় প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তার পরপর সমীরণ সাহা। যা বলা হচ্ছে, এখানকার কমিটিতে ব্রাত্য, সেটা খুবই নগণ্য ব্যাপার। আজ যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দল এই জায়গায় উঠে এসেছে, সেই জায়গায় আনার পিছনে যাদের ভূমিকা আত্মত্যাগ আছে লড়াই আছে. এই দুজন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।”

কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের?

জয়প্রকাশ মজুমদার আরও বলেন, “তারা এসেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলতে। চা খেতে খেতে কথা বলতে। রাজ্য রাজনীতি কী রকম দিকে যাচ্ছে, সামনে সল্টলেকের নির্বাচন আছে, সেই সব নানা বিষয়ে কথাবার্তার জন্য এসেছিলেন। একটা কথা আছে না… ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে… আমরা হচ্ছি রাজনীতিবিদ। রাজনীতিবিদরা এক জায়গায় হলে চা খেলে তখন তো ওয়েদার নিয়ে আলোচনা করে না ,তাই রাজনীতি নিয়েই আলোচনা করে। যে কোনও নতুন সভাপতি আসলে তার নতুন টিম তৈরি হয়। রাজ্য কমিটি তৈরি হয়। সব সময় পুরানো থাকবে, নতুন আসবে না, তা নয়।”

ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন একাধিক নেতা

তবে সূত্রের খবর, বিজেপির যে নবগঠিত রাজ্য কমিটি, যা এখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি… তাতে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষুব্ধ একাধিক নেতা। একদিনে মতুয়া সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব না থাকার অভিযোগ তুলে, ঠাকুরনগরে বৈঠক করছেন শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে, রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই না পেয়ে জয় প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীরণ সাহার মতো প্রবীণ বিজেপি নেতারা বৈঠক করেন। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন আরও অনেকে। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে বেশ অভিমানী বিজেপি নেতাদের একাংশ।

যদিও এই বৈঠককে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বঙ্গ বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, “আমাকে কেউ জানায়নি যে তাঁরা বিদ্রোহী। কেউ কারও বাড়ি যেতেই পারেন চা খেতে। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা বলতে পারবেন। তবে দলের সিনিয়রদের উচিৎ জুনিয়রদের সাহায্য করা, তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে । বৈঠক করা কোনও দল বিরোধী কাজ নয়। বিজেপি রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সহ সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।”

আরও পড়ুন: Red Volunteers Preparedness: কাঁধে একরাশ অভিজ্ঞতা আর সাহস, তৃতীয় ওয়েভে ঝাঁপাতে প্রস্তুত ‘লাল ফৌজ’ও

Next Article