Bus Accident: সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে এত প্রচার, তারপরও সচেতনতা কোথায়? মিনিবাস দুর্ঘটনায় SSKM-এ কান্নার রোল
SSKM Hospital: শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ জন এখনও চিকিৎসাধীন। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতা: ফের শহরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Bus Accident)। মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে উল্টে গিয়েছে যাত্রীবোঝাই মিনিবাস। হাওড়াগামী ওই মিনিবাস উল্টে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন যাত্রী। মৃতদের মধ্যে একজন রয়েছে মাত্র ১৬ বছরের এক কিশোর। জানা যাচ্ছে মোট ১৯ জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ জন এখনও চিকিৎসাধীন। এদিকে জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলের যে মিনিবাসটি উল্টে গিয়েছে, সেটির পিছনের চাকাটি ফাটা।
দুর্ঘটনার পর আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর হাসপাতাল চত্বরে রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বললেন, ‘এত বিজ্ঞাপন হচ্ছে, এত টাকা খরচ করে সেভ ড্রাইভ, সেফ লাইফ প্রচার হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম যেভাবে লাগু করা দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। অকালে প্রাণ ঝরে গেল। গতি না থাকলে, বাস এভাবে উল্টে যায় না। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টকে ঢেলে সাজানো দরকার। প্রতিদিনই তো কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে। এখন ভাড়ার কোনও ঠিক নেই, রক্ষণাবেক্ষণ বা চালকদের যোগ্যতার কোনও ঠিক নেই। সরকারের পরিবহণ দফতর বলে কিছু আছে?’
এদিকে দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমও। অরূপ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, যাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁর জন্য সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসক সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিরহাদ হাকিমও এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছেন হাসপাতালে। বললেন, ‘আমার এলাকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলে। অত্যন্ত মর্মান্তিক। ভিতরে গিয়ে আমি দেখে এলাম, মাথায় আঘাত নেই। অন্য আঘাত রয়েছে।’
সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে এত প্রচারের পরও এমন দুর্ঘটনায় আক্ষেপের সুরও উঠে আসে মেয়রের গলায়। বললেন, ‘আমরা এত প্রচার করছি। এত বলা হচ্ছে, গাড়ি আস্তে চালানোর জন্য। কিছু কিছু মানুষ তা মানছে না, সেই কারণেই এগুলি হচ্ছে।’