Mamata Banerjee Meeting: ‘চুরি চামারি করে খেতে হবে…’, মমতার নির্দেশের পর উৎকণ্ঠায় যাদবপুরে সরকারি জমি দখল করা দোকানিরা

Jadavpur: প্রায় ২৯ কাঠা জমির অর্ধেকের বেশি বর্তমানে বেদখল হয়ে রয়েছে। রয়েছে গ্যারেজ। রয়েছে বাজার। রয়েছে অসংখ্য দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের কেউ ৪০ বছর, কেউ আবার ৫০ বছর ধরে এখানে দোকান করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন।

Mamata Banerjee Meeting: চুরি চামারি করে খেতে হবে..., মমতার নির্দেশের পর উৎকণ্ঠায় যাদবপুরে সরকারি জমি দখল করা দোকানিরা
উৎকণ্ঠায় দোকানিরাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Jun 24, 2024 | 10:00 PM

কলকাতা: নবান্নের বৈঠকে যাদবপুরের প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগ নিয়ে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে কোন জায়গায়, কোন প্লট সব নাম করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩৫৫, প্লিজ আনোয়ার শাহ রোড। লর্ড বেকারি মোড়ে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রায় ২৯ কাঠা জমি রয়েছে। জবরদখলের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরই টিভি নাইন বাংলা পৌঁছে যায় লর্ড বেকারি মোড়ে।

প্রায় ২৯ কাঠা জমির অর্ধেকের বেশি বর্তমানে বেদখল হয়ে রয়েছে। রয়েছে গ্যারেজ। রয়েছে বাজার। রয়েছে অসংখ্য দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের কেউ ৪০ বছর, কেউ আবার ৫০ বছর ধরে এখানে দোকান করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের নির্দেশের পর উদ্বিগ্ন এই জায়গায় দোকান গজিয়ে তোলা ব্যবসায়ীরা। যদিও তাঁরা কোনও বিরোধের পথে যেতে চান না। তাঁরা শুধু চাইছেন, তাঁদের জন্য যাতে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করা হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘দিদির কাছে আমাদের আবেদন, আমাদের পুনর্বাসন দিন। আমরা নাহলে কোথায় যাব? আমাদের তো না খেতে পেয়ে মরে যাব।’

যাঁরা সেখানে ব্যবসা করছেন, তাঁদের কেউ কেউ আবার বলছেন, তাঁরা জানতেনই না এটা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের জমি। তাঁদের কাতর আর্জি, ‘যে কোনও একটা সাইডে আমাদের দোকানদারদের কিছু একটা বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। কিন্তু একেবারে তুলে দিলে আমরা তো বেকার হয়ে যাব। তখন তো চুরি চামারি করে খেতে হবে। একেবারে তুলে দিলে কীভাবে সম্ভব!’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অতীতেও ওই জমির একটি অংশ টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা এখন ভেঙে একাকার। উল্লেখ্য, এই ২৯ কাঠা জমির বাইরের দিকে বাজার থাকলেও ভিতরের অংশটা ফাঁকা। সেই ফাঁকা অংশটি রীতিমতো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। এই জমি কি এবার দখলমুক্ত হবে? সরকারি জমির উপর যাঁরা এতদিন ব্যবসা করছিলেন, তাঁদের ভাগ্যে কি জুটবে কোনও বিকল্প ব্যবস্থা? চোখে মুখে এক রাশ উদ্বেগ নিয়ে আপাতত সেই সব প্রশ্নের অপেক্ষায় ৩৫৫, প্লিজ আনোয়ার শাহ রোডের সরকারি জমিতে দোকান চালিয়ে সংসার টানা ব্যবসায়ীরা।