কলকাতা: নারদকাণ্ডে (Narada Case) কয়েক বছর আগে অস্বস্তির মুখে পড়ে রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool-Congress)। নাম জড়ায় তৃণমূলের একাধিক তাবড় তাবড় নেতা-নেত্রীদের। যা নিয়ে বিস্তর আলোড়ন তৈরি হয় রাজ্য-রাজনীতির আঙিনায়। এই সেই মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে এলেন মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। এর আগেও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র হাজিরা দিয়েছিলেন নারদ মামলায়। নারদ কাণ্ডে স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই গ্রেফাতর হন, জামিনও হয়ে যান তাঁদের অনেকের। কিন্তু, জামিন পাওয়ার পরেও এই মামলার শুনানি চলছে। সেই শুনানিতেই এদিন তাঁদের সকলকে ফের তলব করা হয়।
শনিবার সকালেই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে সবার আগে এসে হাজিরা দেন মদন মিত্র( Madan Mitra)। তারপরেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজিরা দিতে এলেন প্রাক্তন মেয়ন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন শুরুতে তাঁরা যখন আদালত চত্বরে এসে পৌঁছন তখন সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পরে মামালার গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন কি না এখন সেটা দেখার। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকবছর ধরে এই মামলা চলছে। গত বছর মে মাসে সিবিআই ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করে। যা নিয়ে ব্যাপক হিন্দোল ওঠে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে।
সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হেফাজতে নেওয়া হয় মদন মিত্রকে। পরবর্তীতে সেই মামলা হাইকোর্টে যায়। সেখান থেকে তাঁরা জামিন পান। কিন্তু, জামিন পাওয়ার পরেও যেহেতু মামলার শুনানি চলছে সেই কারণে তাঁদের সশরীরের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে কোর্টের তরফে।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু বসতে গিয়ে ভাঙল খাট, কুণাল বললেন, ‘অন্য কিছু ভেবে ভয় পেয়েছিলাম’