কলকাতা: ‘আমি দুঃখিত নই। আমি মায়ের জন্য খুব খুশি।’ মানিকতলা উপ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে সুপ্তি পাণ্ডের নাম ঘোষণা হওয়ার পর একথাই বললেন মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে। তবে, নির্বাচনের আগে সাধন পাণ্ডের মেয়ের গলায় যেন শোনা যাচ্ছে অভিমানের সুর। এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, বাবার মৃত্যুর পর পরিচিতি তৈরি করেছিলেন শ্রেয়া। চেষ্টা করেছিলেন মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার। কিন্তু এখন নাকি তাঁকে শুনতে হচ্ছে, তিনি কোনও কাজই করেননি।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে শ্রেয়া বলেন, “আমি মানিকতলায় কোনও কাজ করিনি, কোনও কাজেই ছিলাম না। এটাই বলা হচ্ছে। আমিও এটা মেনে নিচ্ছি।” তাঁর আরও দাবি, নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে তাঁকে, মায়ের থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। তবে কর্মী না হোক, সাধারণ মানুষ হয়েই মায়ের প্রচার মিছিলে থাকতে চান তিনি।
প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন কি মনেই রেখে দিতে হল? শ্রেয়া বলেন, “স্যারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হয়েছে। তাই সন্তান ধারণ করিনি। তবে স্বপ্ন ধারণ করেছিলাম মনের মধ্যে। স্বপ্নপূরণ না হলে দুঃখ হয়, কষ্ট হয়। আবার মিটেও যায়। আপাতত আমি মায়ের জন্য খুব খুশি, আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করার কেউ নই।”
সুপ্তি পাণ্ডে দাবি করেছেন, শ্রেয়া অভিষেকের পছন্দের পাত্রী। সেই প্রসঙ্গ উঠতে শ্রেয়া বলেন, “অভিষেক আমার হৃদয় জুড়ে আছে। ও আমার লিডার। আমি ওকে শ্রদ্ধা করি। ও আমার থেকে বয়সে একটু ছোট। কিন্তু কাজে অনেক বড়। ওর চিন্তাধারা এত ভাল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী, আমার মাথার ওপর আছেন। উনি মায়ের ছোটবেলার বন্ধু। প্রথম দিন থেকেই মা ছিলেন মমতার পছন্দের প্রার্থী।”
তবে শ্রেয়া দাবি করেছেন, তৃণমূলের প্রতীক তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মমতা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করেছেন তিনি, ভবিষ্যতেই দলের কর্মী হিসেবে দলের কথাই শুনবেন।