AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shweta Khan: পাঁচ দিন ধরে ঘন ঘন জায়গা বদল, গল্ফগ্রিনের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে জালে আরিয়ান

Shweta Khan: বুধবার সকালে গল্ফগ্রিন থেকে গ্রেফতার করা হল আরিয়ানকে। আটক করা হয়েছে শ্বেতার মাকেও। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি শ্বেতার।

Shweta Khan: পাঁচ দিন ধরে ঘন ঘন জায়গা বদল, গল্ফগ্রিনের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে জালে আরিয়ান
শ্বেতা খানের ছেলে আরিয়ান গ্রেফতার (ফাইল ছবি)Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2025 | 2:03 PM

অনন্ত চট্টোপাধ্যায় : পানিহাটির তরুণীর নির্যাতনে মূল অভিযুক্ত আরিয়ান খান গ্রেফতার। সপ্তাহ খানেক ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে গল্ফগ্রিন থেকে গ্রেফতার করা হল আরিয়ানকে। আটক করা হয়েছে শ্বেতার মাকেও। কিন্তু এখনও খোঁজ মেলেনি শ্বেতার। মনে করা হচ্ছে, আরিয়ানের সূত্র ধরেই শ্বেতার খোঁজ পাওয়া যাবে। আরিয়ানের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও একজনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই পাঁচ দিন ধরে ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করেছেন আরিয়ান। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারে, গল্ফগ্রিনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছেন আরিয়ান। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলেন গোয়েন্দারা। বাগে আসেন আরিয়ান। আরিয়ানকে ডোমজুড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পানিহাটির এক নাবালিকার নিখোঁজ-রহস্য,  তারপর তাঁকে নিগৃহীত অবস্থায় তাঁর ফিরে আসা, পুলিশে অভিযোগ- এই ঘটনার তদন্তেই উঠে আসে হাওড়ার বাকড়ার বাসিন্দা শ্বেতা-আরিয়ানের কীর্তি। শ্বেতা ও আরিয়ান সম্পর্কে মা-ছেলে। শ্বেতার প্রথম পক্ষের সন্তান আরিয়ান। অভিযোগ, তাঁরা প্রোডাকশন হাউজ করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন। বাড়িতেই চলত পর্নোগ্রাফির ব্যবসা, তেমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আরিয়ান সামাজিক মাধ্যমে কাজের খোঁজ করা তরুণীদের সঙ্গে আলাপ পাতাতেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজের কথা বলে তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে যেতেন , তারপর চাপ তৈরি করে পর্নোগ্রাফির শ্যুট করাতেন বলে অভিযোগ। আর বাড়িতে বসেই গোটা বিষয়টি দেখভাল করতেন শ্বেতা। পানিহাটির ওই তরুণীও সেই পরিস্থিতির শিকার। তাঁকেও ইভেন্টের কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে পর্নোগ্রাফি শ্যুট করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তা না করায় ঘরে আটকে রেখেছে করা হয়েছে অত্যাচার। কোনওক্রমেই শ্বেতার মায়ের সহযোগিতায় পালিয়ে আসতে পেরেছিলেন ওই তরুণী। তাঁর চেহারার ভয়ঙ্কর অবস্থা। মাথায় গুরুতর চোট। বর্তমানে সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শ্বেতার মাথায় রাজনৈতিক নেতাদেরও হাত ছিল। তাতেই পাড়ার মধ্যে এইভাবে দিনের পর দিন পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছিল, শ্বেতা বছরে একাধিকবার ব্যাঙ্ককে যেত। সেক্ষেত্রে শ্বেতা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে। তবে আরিয়ানকে গল্ফগ্রিন থেকে গ্রেফতারির পর তদন্তকারীরা মনে করছেন খুব শীঘ্রই ধরা পড়বেন শ্বেতা।