
কলকাতা: এসআইআর-এর ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪ ডিসেম্বরের বদলে ১১ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে। এই সাতদিনে কী কী করতে হবে, তা নিয়ে সব জেলাশাসককে চিঠি দিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। বিএলও এবং ইআরও-রা আরও এক সপ্তাহ সময় অতিরিক্ত পাচ্ছেন। তাই ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করার চেষ্টা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী কী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে…
১. ২ ডিসেম্বরের মধ্যে কাছে থাকা সব এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে হবে বিএলও-দের। পরে যে সব ফর্ম আসবে সেগুলি সেদিনই আপলোড করতে হবে। ২ ডিসেম্বরের পরে জমা পড়ে থাকা কোনও এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করা হবে না।
২. ১১ ডিসেম্বরের পরে কোনও বাড়ি থেকে ফর্ম জমা নেওয়া হলে, অ্যাপে সেগুলি uncollectable বা অসংগ্রহযোগ্য হিসেবে দেখানো হবে।
৩. যে সব ভোটার দাবি করেছেন যে তাঁরা নিজেরাই পরিবারের প্রধান। ২০০২ সালে তাঁদের বয়স ৬০ বা তার বেশি ছিল কি না, তা যাচাই করতে হবে।
৪. ২০২৫ সালে কোনও ভোটারের বয়স ৫০ বছর বা তার বেশি হলে, তাঁকে প্রশ্ন করতে হবে ২০০২ সালে তাঁর বয়স ২৫ বছর বা তার বেশি হলেও কেন ভোটার তালিকায় নাম নেই।
৫. বাবা–মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের ফারাক ৪৫ বছরের বেশি অথবা, ১৮ বছরের কম হলে সেগুলি ভালভাবে যাচাই করতে হবে।
৬. ২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যে সব স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সেগুলিতে ফর্ম বিশেষভাবে যাচাই করতে হবে।
৭. যে সব বুথে বাবা,মা, সন্তানের ম্যাপিং ৫০ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ২০০২ ও ২০২৫-এ বাবা-মা ও সন্তানের নাম আছে, সেখানে ভালভাবে যাচাই করতে হবে।
৮. মৃত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। জন্ম-মৃত্যুর তথ্য নিতে হবে। মৃতদের বাতিল হওয়া রেশন কার্ড থেকেও তথ্য নিতে হবে। ইআরও-দের এই তথ্য যাচাই করে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। যদি বিএলও ভুল এন্ট্রি করে থাকে, সেটাও সংশোধন করতে হবে।
৯. যেসব বুথে ০–২০টি আনকালেকটেবল ফর্ম রয়েছে, সেখানে বিএলও–রা ঠিক মতো এন্ট্রি করেছে কি না দেখতে হবে।