
কলকাতা: বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। গোটা দেশ জুড়ে মোট ১২টি রাজ্যে এসআইআর হবে। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন ফর্ম ছাপানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার বুথ লেভেল অফিসারদের জন্য একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এই গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO)। তারা যখন বাড়িতে বাড়িতে যাবেন, তখন এই নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। গোটা এসআইআর (SIR) পর্বেই এই নির্দেশ মানতে হবে।
১) বিএলওদের নাম, মোবাইল নম্বর সব বুথে লিখে দেওয়া হবে। এছাড়াও সিইও বা জেলাশাসকের ওয়েবসাইটে গেলে জানা যাবে বিএলও’র নাম ও মোবাইল নম্বর। স্থানীয়ভাবে প্রচার হবে আপনার অর্থাৎ ওই অঞ্চলের বিএলও কে হচ্ছেন।
২) বর্তমান ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পাঠানো হবে।
৩) ভোটারকে দেখা না পেলে, বাড়িতে লেটার বক্সে বা দরজার ফাঁকে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে এনুমারেশন ফর্ম।
৪) বিএলও নির্বাচন কমিশনের দেওয়ার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের লিঙ্ক দেখে নিতে পারবেন। ভোটারের এপিক নম্বর দিয়ে এই তথ্য পাওয়া যাবে। বিহারের এসআইআরে এই সুযোগ ছিল না।
৫) প্রতিটি এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার পর বিএলওকে স্বাক্ষর করতে হবে। যে ফর্মটি ভোটার তার কাছে রেখে দেবেন, সেটিতেও বুথ লেভেল অফিসারের সই থাকবে।
৬)বিএলও-কে একাধিকবার এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর বাড়িতে যেতে হবে। তবে আবেদনকারী মনে করলে সরাসরি ইআরও অফিসে গিয়ে ফর্ম জমা দিতে পারবেন।
৭)কোনও ভোটার বাইরে থাকলে, ৪ নভেম্বরের পর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সিইও ওয়েরসাইটে গিয়ে তাঁর এনুমারেশন ফর্ম অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন।
৮) কোনও ব্যক্তি কাজের জন্য বাইরে থাকলে তাঁর হয়ে পরিবারের অন্য সদস্য স্বাক্ষর করে জমা দিতে পারবেন। তবে স্বাক্ষরকারীকে লিখে দিতে হবে আবেদনকারীর নাম এবং তাঁর সঙ্গে সর্ম্পক।
৯)এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেই খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। জমা না দিলে ভোটার তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ নেই।
১০) যাদের ২০০২-এর ভোটার তালিকায় কোনও লিঙ্ক পাওয়া যায়নি, তাদের ইআরও বা এইআরও শুনানিতে ডাকবেন। সাতদিন সময় দেওয়া হবে। শুনানিতে সব নথি নিয়ে হাজির হতে হবে।
১১) খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি শোনার জন্য ৫৪ দিন সময় থাকবে। যার ভিত্তিতে শুনানি হবে।
১২) ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যদি দেখা যায় কারও নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তখন তিনি সরাসরি জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেলে সিইও’র কাছে আবেদন করতে পারেন।
১৩) তারপরও ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ পর্যন্ত এই আবেদন জানানো যাবে।