
কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না আইনি বিচ্ছেদে অনুমতি দিল না আদালত। রায়ে খুশি নন শোভন। বললেন, “আজকের রায় বিচিত্র রায়। বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না।” এই রায় শোনার পর TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শোভন বলেন, ”
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটা ধারা রয়েছে ৪৯৮। কিন্তু পুরুষরাও যে সমাজে কতটা অত্যাচারিত, তা আমি জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি। প্রত্যেক মুহূর্তে। ২২ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক, আমি শখ করে ডিভোর্স মামলা করিনি।”
তাঁদের মধ্যে আর কোনও সম্পর্কই নেই। জোর করে এই সম্পর্কটা রাখারও আর কোনও মানে হয় না, সেটাই বললেন শোভন। তাঁর কথায়, “তাঁরা আর আইনত বা সামাজিক স্ত্রীও নয়। সুতো দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।”
২০১৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেছিলেন শোভন। রত্নার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন। এই মামলার আদালতের পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে শোভন বলেন, “উনিই তো শক্তিশালী। আমাকে শক্তিশালী বলা হচ্ছে কেন? আমি এমএলএ, এমপিও নই। উনি তো বিধায়ক, কাউন্সিলরও।”
বৈশাখীকে কাছে টেনে নিয়ে বললেন, “ডেফিনেটলি বৈশাখী বড় শক্তি আমার।বৈশাখীর সঙ্গে হৃদয়ের মিল। ১ ২ সেপ্টেম্বর আমরা হাতে হাত দিয়ে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আজ সেটা সম্পূর্ণভাবে সিলমোহর পড়ল। বিবাহের যে আইনত বন্ধন আছে, সেটা সরু সুতোর মত, সেটা কিভাবে বিচ্ছিন্ন করা যায়, সেটা দেখব।”
রত্না সম্পর্কে বৈশাখী বললেন, “স্বামীকে না ফিরে পাওয়ার পর একজন হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলেন। স্বামীকে ফিরে না পেয়ে কোনও দুঃখ নেই। যে সম্পর্ক প্রাণহীন, দুটো অবয়ব পড়ে আছে। আমার সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক তলানিতে এলে, আমিই শোভনকে মুক্তি দেব। জোর করে অধিকার বোধের মানুষ আমি নই।”