AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sovan-Ratna Divorce: ‘প্রমাণ করতে পারেননি…’, শোভনের ডিভোর্সের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত

Sovan-Ratna Divorce case: রত্না শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেদনও খারিজ করে দিল আদালত। কাউকে একসঙ্গে থাকতে বাধ্য করা যায় না বলে আদালত জানিয়ে দিল। রত্নার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর থেকে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন আর তাঁর নিজের বাড়িতে থাকেন না। গোলপার্কে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি।

Sovan-Ratna Divorce: 'প্রমাণ করতে পারেননি...', শোভনের ডিভোর্সের আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত
শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনি বিচ্ছেদ হল নাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2025 | 3:20 PM
Share

কলকাতা: তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। মাঝেমধ্যেই পরস্পরকে তোপ দাগেন। তবে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না আইনি বিচ্ছেদে অনুমতি দিল না আদালত। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল আলিপুর আদালত। অন্যদিকে, রত্না চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে থাকার জন্য যে আবেদন করেছিলেন, তাও আদালত খারিজ করে দিল। অর্থাৎ আইনি বিচ্ছেদ না হলেও শোভনকে রত্নার সঙ্গে থাকতে হবে, এমন নির্দেশ দিল না আদালত।

২০১৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেছিলেন শোভন। রত্নার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছিলেন। রত্নার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে শোভন বলেছিলেন, রত্না নিজের বাচ্চাদের দেখেন না। টাকাপয়সা নয়ছয় করেন। কিন্তু, কোনও অভিযোগই আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি শোভনের আইনজীবী। অভিযোগগুলি প্রমাণিত না হওয়ায় শোভনের আইনত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দেন আলিপুর আদালতের ফার্স্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ রাজেশ চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, রত্না শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেদনও খারিজ করে দিল আদালত। কাউকে একসঙ্গে থাকতে বাধ্য করা যায় না বলে আদালত জানিয়ে দিল। রত্নার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর থেকে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন আর তাঁর নিজের বাড়িতে থাকেন না। গোলপার্কে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। সঙ্গে থাকে বৈশাখীর মেয়ে।

এদিন আদালতের রায়ের পর রত্না বলেন, “আট বছর ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি আমার বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চাদের উপর মানসিকভাবে যে অত্যাচার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আট বছর ধরে লড়াই করেছি। আমার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি, বাপেরবাড়ির লোকজন ও আইনজীবীরা লড়েছেন। আমি বিশ্বাস করি। আমাদের এই রায়টা সমাজের উপর প্রতিফলিত হবে। কারণ, পুরুষশাসিত সমাজে মহিলারা যেভাবে নির্যাতিত হন এবং ক্ষমতার কাছে হেরে যান। সেখানে আমি এই লড়াই লড়তে পেরেছি।”

বাবা শোভনকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে দু’হাত বাড়িয়ে দিলেন ছেলে ঋষি

আদালতের এই নির্দেশে খুশি শোভন ও রত্নার ছেলে ঋষি। একইসঙ্গে সব ভুলে বাবাকে আবার তাঁদের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ জানালেন। এই নিয়ে শোভনের এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।