
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দার্জিলিঙে একান্তে সাক্ষাৎকার। তারপর বড় টার্ন! পদ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। NKDA অর্থাৎ নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তখন থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, দীর্ঘ অবসর কাটিয়ে আবারও কি রাজনৈতিক জীবনে প্রত্যাবর্তন শোভনের?
শোভন ঘনিষ্ঠদের তরফ সূত্রে জানা যাচ্ছিল, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই রাজনীতিতে ‘কামব্যাক’ করতে পারেন শোভন। রাত পোহাতেই সেই জল্পনার অবসান। বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে ঘণ্টা দুয়েক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন শোভন। কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য এদিন আর বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলেননি শোভন। আভাস দিয়েছিলেন, সময় বলবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও শোভনের রাজনীতিতে কামব্যাকের জল্পনা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কারণ ২০২৩ সালের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল শোভনকে। তখন গুঞ্জন রটে। আবার ২০২৪ সালের একুশের মঞ্চেও দেখা মেলে। এক বছরের ব্যবধানে কম গুঞ্জন হয়নি। এমনকি ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেভাবে কিন্তু তখন শোভনের রাজনীতি-যোগের নজির মেলেনি। কিন্তু এবার যখন শোভন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলই বলছিল, এবারের সাক্ষাৎ অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও নিবিড়ও বটে।
২০২১ সালের আগে বৈশাখী-সহ শোভন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে-ও যোগ দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য পদ্মশিবিরের প্রতি বিরূপ হয়ে দল ছেড়ে দেন। বিজেপি ছাড়ার পর তিনি একেবারে রাজনৈতিক আঙিনা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন।
TV9 বাংলাকে ফোনে নিজের পদ পাওয়া নিয়ে শোভন বললেন, “দিদি যদি আমার ওপর আস্থা রাখে, তাহলে আমি সম্পূর্ণ চেষ্টা দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করব। আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার সম্পূর্ণ প্রয়াস দিয়ে চেষ্টা করব। নতুন করে একটা শহর গড়ে উঠেছে। খুবই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব।” ছাব্বিশের নির্বাচনের পর তিনি প্রশাসনিক পদ পেলেন, তাহলে কি ছাব্বিশের নির্বাচনেও দলে বড় দায়িত্ব? কী বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? শোভন বললেন, “দিদির আস্থা, আর সেই আস্থাকে পালন করা আমার কর্তব্য। আমাকে যেরকমভাবে কাজে লাগাবেন, যা নির্দেশ, উপদেশ দেবেন, সেটা সম্পূর্ণ করাই আমার কর্তব্য।”