SIR-এর অনলাইন ফর্ম কীভাবে ফিলআপ করবেন? জেনে নিন!
Special Intensive Revision: অনেকেই এর মধ্যে ভাবছেন অনলাইনে এই ফর্ম ফিলআপ করলে কেমন হয়? তাঁদের জন্য কমিশন জানিয়েছে কীভাবে অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। তবে হ্যাঁ, আপনার ভোটার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করা না থাকলে কিন্তু অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করা যাবে না।

সামনের বছরই বাংলায় রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে গোটা দেশেই চলছে এসআইআরের দ্বিতীয় পর্ব। দেওয়া হয়ে গিয়েছে এনুমারেশন ফর্ম। অনেকেই এর মধ্যে ভাবছেন অনলাইনে এই ফর্ম ফিলআপ করলে কেমন হয়? তাঁদের জন্য কমিশন জানিয়েছে কীভাবে অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। তবে হ্যাঁ, আপনার ভোটার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করা না থাকলে কিন্তু অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করা যাবে না।
কীভাবে ফর্ম ফিলআপ করবেন?
প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করেন ভোটার সার্ভিস পোর্টাল লিখে। সবার উপরই ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটটি দেখিয়ে দেবে আপনাকে। সেখানে গিয়ে ইনুমারেশন ফর্ম সিলেক্ট করতে হবে। সেখানেই অপশন পাবেন অনলাইন নাকি অফলাইন, কোনটা আপনি প্রেফার করছেন। অফলাইন হলে আপনার ডিটেল দিয়ে একটা ফর্ম জেনারেট করে ওরা আপনাকে দিয়ে দেবে। আর অনলাইনে হলে প্রসেস করতে হবে।
লগইন করুন
এরপর নিজের ফোন নম্বর নিয়ে লগইন করতে হবে আপনাকে। যদি আপনার আগে থেকে আইডি ক্রিয়েট করা না থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে লগইন না করে সাইন আপ করতে হবে।
সাইনআপ হলে, আপনার এপিক নম্বর বা ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দিলেই আপনার সমস্ত ডিটেল ওই ওয়েবসাইট ফেচ করে নেবে। তারপর আপনাকে নিজের ছবি আপলোড করতে হবে। তাহলে, আপনার নিজের একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যানড কপি নিয়ে আপনাকে এই ফর্ম ফিলআপ করতে বসতে হবে। তারপর নিজের জন্মতারিখ, আধার নম্বর, বাবার নাম, বাবার ভোটার কার্ডের নম্বর, মায়ের নাম ও মায়ের ভোটার নম্বর আপডেট করতে হবে। এর মধ্যে আধার নম্বর, বাবা ও মায়ের ভোটার কার্ডের নম্বর আপডেট করাটা ঐচ্ছিক বিষয়।
ডকুমেন্ট আপলোড
আগেই আপনি ছবি আপলোড করেছেন। সব শেষে আপনার নিজের সইও আপলোড করতে হবে। সাদা পাতায় নীল বা কালো কালিতে সই করে, তাকে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। তারপর ডিটেলসের পেজটি সাবমিট করতে হবে।
২০০২-এর ভোটার লিস্ট
এরপর পরবর্তী পেজে অর্থাৎ ডিক্ল্যারেশন পেজে গেলেই আপনি পাবেন একাধিক অপশন। এর মধ্যে থেকে আপনার জন্য যেটা অ্যাপ্রোপ্রিয়েট, সেটা আপনি সিলেক্ট করবেন। যদি ২০০২ সালের আগে আপনি ভোটাধিকার পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই তালিকায় আপনার নাম ছিল নিঃসন্দেহে। ফলে, সেই অপশন সিলেক্ট করুন। ২০০২ সালের পর পুনর্বিন্যাসের কারণে আপনার বিধানসভা বদলে গিয়ে থাকতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ২০০২ সালে আপনার বিধানসভা কি ছিল, সেটা সিলেক্ট করতে হবে। অনেকের আবার এপিক নম্বরও বদলে গিয়েছে। ফলে, পুরনো এপিক নম্বর লেখারও জায়গা রয়েছে সেখানে। আর সব ডিটেলস দেওয়ার পর সাবমিট করে দিতে হবে। সঙ্গে ২০০২-এর ভোটার তালিকা যা আপনি ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটেই পেয়ে যাবেন, সেখানে নিজের নাম মার্ক করে তার একটা স্ক্যানড কপি আপলোড করতে হবে।
আর যাঁদের ২০০২-এর তালিকায় নাম ছিল না তাদের জন্য যদিও প্রসেসটা একটু দীর্ঘ। যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে তাঁদের যে কোনও সরকারি পরিচয়পত্র দিতে হবে বা জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট সহ একাধিক ডকুমেন্টের মধ্যে একটি ডকুমেন্ট দিতে হবে।
যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তাঁদেরও এই একই ধরনের ডকুমেন্ট দিতে হবে। সঙ্গে বাবা বা মায়ের যে কোনও একটা ডকুমেন্ট বা বাবা, মায়ের ভোটার লিস্টে নামের ছবি দিতে হবে। আর ২০০৪ সালের পর জন্মালে বাবা ও মা, দুজনেরই এই সব ডকুমেন্টের মধ্যে একটি ডকুমেন্ট দিতে হবে। সব শেষে সাবমিট বাটনে ট্যাপ করলেই হবে। ব্যাস, তাহলেই আর চিন্তা নেই।
