কলকাতা : শিকলে বাঁধা বেজি। আর সেই বেজি হাতে ধরে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তার জেরে পরপর দু দিন বন দফতরের অফিসে হাজিরা দিতে হল তাঁকে। মঙ্গলবার হাজিরা দেন শ্রাবন্তী সহ পাঁচজন। পরপ দু দফায় এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। সোমবারও চার ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ২৫ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের বনদফতরের অফিসে হাজির হন তিনি। সূত্রের খবর, তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করেন, বন্যপ্রাণীটি কার? কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল? জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রাবন্তী জানান, যাঁর বেজি, তিনিও এসেছিলেন এ দিন। তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলেও উল্লেখ করেছেন শ্রাবন্তী।
অভিনেত্রীর দাবি, শুটিং চলাকালীন, কেউ ওই প্রাণীটিকে নিয়ে এসেছিল। ভালো লেগেছিল বলে হাতে আদর করেছিলেন শ্রাবন্তী।
জিজ্ঞাসাবাদে আধিকারিকরা জানতে পারেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুরে একটি প্রোমোশনের শুটিং চলার সময় বন্যপ্রাণী হাতে নিয়ে ওই ছবিটি তুলেছিলেন অভিনেত্রী। আর সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই বিতর্ক সামনে আসে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, এ ভাবে কোনও প্রাণীকে শিকলে বেঁধে রাখা অপরাধ। আর শ্রাবন্তীর মতো একজন অভিনেত্রী এই কাজ করলে, অনেকেই প্রভাবিত হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হেছে বলে জানা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে তাঁকে সমন করে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল। তাঁকে দ্রুত হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সময় চেয়ে ছিলেন শ্রাবন্তী। তৃতীয়বারের নোটিসে সোমবার হাজিরা দেন তিনি। কোথায় রয়েছে ওই বেজি? নিজের বাড়িতে আছে নাকি অন্য কোথাও গিয়ে এই ছবি তোলা হয়েছে? কেন এমন ছবি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী? এই সব বিষয়ে শ্রাবন্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : Tathagata Roy: ‘শোনা যায় জয়প্রকাশ লাথি খাওয়ার জন্য টাকা খরচ করেছিল’, বিস্ফোরক দাবি তথাগত রায়ের