AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tathagata Roy: ‘শোনা যায় জয়প্রকাশ লাথি খাওয়ার জন্য টাকা খরচ করেছিল’, বিস্ফোরক দাবি তথাগত রায়ের

BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল, দাবি তথাগতর।

Tathagata Roy: 'শোনা যায় জয়প্রকাশ লাথি খাওয়ার জন্য টাকা খরচ করেছিল', বিস্ফোরক দাবি তথাগত রায়ের
বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2022 | 8:07 PM
Share

কলকাতা: জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে টুইট-বাণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এই যোগদানের পরই স্বভাবসিদ্ধভাবে টুইটারে সরব হন তথাগত। তাঁর কাছে জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির একটি ‘কীটাণু’ মাত্র। তথাগত রায় টুইটারে লেখেন, ‘জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল। কিন্তু কি এক পদার্থ জোগাড় করে তাকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল কেডিএসএ গ্যাং! ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত।’

একইসঙ্গে এদিন ‘কেডিএসএ গ্যাং’-এর বিরুদ্ধে আবারও ‘কামিনী কাঞ্চন’-এর মোহে মজে থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তথাগত রায় টুইট করেন, ‘কেডিএসএ গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল। শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল। শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই! যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে! আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!’

এদিন টিভিনাইন বাংলাকে তথাগত রায় জানান, “যাঁরা চলে যাবেন, তাঁদের চলে যাওয়াকে আমি স্বাগত জানাই। তাঁরা তৃণমূলে চলে যান, তাঁরা সিপিএমে চলে যান, তাঁরা নিরুদ্দেশে চলে যান আমার কিচ্ছু বলার নেই। বিজেপিতে আমরা এমন লোক চাই যাঁরা বিজেপির আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে আসবেন। যেরকম আমরা এসেছিলাম। সে সময় বিজেপি সিকি শতাংশ ভোট পেত। আমরা এখনও টিকে আছি এবং আমাদের কেউ অন্য কোথাও যেতে দেখেনি। যারা আসার পর গিয়েছে তারা বেনোজল। ২০১৪ সালের পর এরা এসেছিল। কেডিএসএ গ্যাং এদের স্বাগত জানিয়েছিল। এরাই একে একে চলে যাচ্ছে। আরও যাবে, আরও যাক।”

একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির মাথায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও উষ্মার সুর তথাগত রায়ের গলায়। তিনি বলেন, “আমি তো শুধু উপদেশ দিতে পারি, পরামর্শ দিতে পারি। এর বেশি তো কিছু করতে পারি না। কারণ বঙ্গ বিজেপির ভার আমার উপর নেই। যাদের উপর দায়িত্ব তাঁরা আমার উপদেশ মানবেন কি মানবেন না তাঁদের ব্যাপার। এর পরিণাম যা হওয়ার হবে। এতে আমার কোনও দায়িত্ব নেই।”

অন্যদিকে এদিন জয়প্রকাশ মজুমদারের দলত্যাগ প্রসঙ্গে সুর চড়ান একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কচুবন থেকে ঘাসবনে গিয়েছেন। আমার কিছু বলার নেই। করিমপুরে তৃণমূলই ওনাকে কচুবনে ফেলে দিয়েছিল।”

আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে বসে অ্যাডজাস্টের চেষ্টা করব’, দার্জিলিং নিয়ে বিনয়-শান্তাকে কড়া বার্তা মমতার