
কলকাতা: কথা ছিল রাত আটটার আশপাশে ফল প্রকাশিত হবে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তি সমাজমাধ্যমে আসে। যেখানে লেখা ছিল ফলপ্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তারপরই রেজাল্ট দেখার সংশ্লিষ্ট সাইট অর্থাৎ https://westbengalssc.com-ই ক্র্যাশ হয়ে গেল। রেজাল্ট দেখতে সমস্যা চাকরিপ্রার্থীদের। তবে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, https://westbengalssc.com- এই ওয়েবসাইটে রেজ়াল্ট দেখা যাবে। কমিশন সূত্রে জানানো হচ্ছে, রেজাল্ট আপলোড করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তাই ওয়েবসাইটে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়েবসাইটে ফল দেখা যাবে।
একাদশ-দ্বাদশে ১২ হাজার ৫১৪ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। আবেদন করেছিলেন ২.৪৬,৫৪৩ জন। কে কত নম্বর পেয়েছেন, এখন এই ওয়েবসাইটে গেলে তাঁরা সেটা দেখতে পাবেন। এরপর শিক্ষকদের যোগ্যতার ভিত্তিতে যে নম্বর ধার্য করা হয়েছে, তা যোগ করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা তৈরি করা হবে। তার আগে হবে নথি যাচাই। সূত্রের খবর, নবম দশমের ফলও খুবই দ্রুত প্রকাশিত হবে।
দু’টি স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬টি। তার মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশের ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিলেন দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন। তার মধ্যে ৩ হাজার ১২০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম। ৯৩ শতাংশ পরীক্ষায় বসেছিলেন। ১০০টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ১৬০ জন চাকরিপ্রার্থী। এর ফলে ৩৫ হাজার ৭২৬ টি শূন্যপদের জন্য ডাক পাবেন ৬০ হাজার চাকরিপ্রার্থী। দেখার চাকরিহারা চাকরিপ্রার্থীদের কতজন এই চরম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন।
মামলার জটে পড়েছিল এই পরীক্ষাও। এসএসসি সূত্রে খবর, এই আট জন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করেন। তাঁদেরও যাতে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের মতো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়া হয়, তা বিবেচনা করতে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, রাজ্যের স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে তাঁদেরকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়া হবে। ওই আট জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। হাইকোর্ট ওই চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই করার নির্দেশ দেয় এসএসসিকে। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের আচার্য সদনে নথি যাচাইয়ের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। সেই নথি যাচাই হয়।