SSC: ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলে সিঁদুরে মেঘ SSC-র চাকরিতেও? কী বলছেন কমিশনের চেয়ারম্যান
SSC Recruitment Scam: ২০১৬ সালের নবম থেকে দ্বাদশের এসএলএসটি চাকরির ক্ষেত্রেও অনেকটা একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের ইন্টারভিউতে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: শুক্রবার প্রাথমিকের (Primary Recruitment) ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যদিও এখনই তাঁদের চাকরি বন্ধ করা হয়নি। আগামী চারমাস এরা প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এদের আবার নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে। যোগ্যতা প্রমাণ দিতে পারলে, আবার চাকরিতে বহাল থাকবেন তাঁরা এবং সেক্ষেত্রে কোনও সার্ভিস ব্রেক হবে না। ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। কারণ, সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়। ৩৬ হাজার। এই ৩৬ হাজার শিক্ষকের ওপর তাঁদের পরিবার নির্ভরশীল। যদি একজন শিক্ষকের পরিবারে গড়ে তিনজন সদস্য থাকেন, তাহলেই সংখ্যাটা ১ লক্ষ পার করে যাচ্ছে। আর এদিকে প্রাথমিকে এই নির্দেশের পর সিঁদুরে মেঘ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রেও।
কারণ, এসএসসির ক্ষেত্রেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ইন্টারভিউের প্রক্রিয়াতেও। ২০১৬ সালের নবম থেকে দ্বাদশের এসএলএসটি চাকরির ক্ষেত্রেও অনেকটা একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের ইন্টারভিউতে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা হাতে গোনা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ওএমআর শিটে, কিন্তু তাঁদের নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫০-এর উপরে। ইন্টারভিউয়ের নম্বর মিলিয়ে তা ৬০ পার করে গিয়েছে।
এসএসসির ক্ষেত্রেও যখন এমন বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে, তখন গোটা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানতে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে। তিনি কি নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন? প্রশ্নের উত্তরে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘ না, আমরা তদন্তকারী সংস্থা নই। তদন্তকারী সংস্থা নথিপত্র দেখবে। যদি কোনও প্রমাণ পায়, তা আদালতে পেশ করবে। কমিশনকে জটমুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করাই আমার কাজ। আমার নিজের সংস্থার আগের কাজকর্ম নিয়ে আমি যদি তদন্ত শুরু করি, তাহলে আর অন্য কোনও কাজ হবে না।’
এসএসসি চেয়ারম্য়ান বলছেন, ‘তদন্তকারী সংস্থা আমাদের থেকে বিভিন্ন নথি নিয়ে গিয়েছেন। কখনও নথি সংক্রান্ত বিষয়ে পুরনোদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তাঁরা যদি কোনও বেনিয়ম বা অসঙ্গতি পান, তা তাঁরা আদালতে পেশ করবেন। সেটা তো আর জনসমক্ষে জানাবেন না।’