SSC: দাগী হয়েও কীভাবে পরীক্ষায় বসতে পারলেন নীতীশ? এবার যুক্তি দিল কমিশন
SSC: এসএসসি-র বক্তব্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, এই বছর ৩ এপ্রিল সম্মানীয় সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে।

কলকাতা: নীতীশরঞ্জন বর্মন! ২০২৫-এর এসএসসি-র একাদশ দ্বাদশের ফলপ্রকাশ হতেই এই নাম এখন খবরের শিরোনামে। আরও একবার এই নাম এসেছিল শিরোনামে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি ‘দাগী’দের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে নাম ছিল নীতীশরঞ্জনের। সেই নীতীশের নামই এবার একাদশ দ্বাদশে যাঁরা ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাক পেয়েছেন, সেই তালিকায়। ‘দাগী’ হয়েও কীভাবে বসলেন পরীক্ষায়? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন বিতর্কের অবকাশ রাখেনি। এই বিতর্কের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুলল এসএসসি।
এসএসসি-র বক্তব্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছে, এই বছর ৩ এপ্রিল সম্মানীয় সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বিবেচ্য যে কোন প্রার্থী যদি এত সতর্কতা সত্ত্বেও দাগী হয়ে সুযোগ পেয়ে যান, তাহলে ভেরিফিকেশন করার সময় অবশ্যই তাকে বাদ দেওয়া হবে। সেই ক্ষমতা সব সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে আছে।
উল্লেখ্য, নীতীশের এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন তাঁর স্ত্রীও। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে নীতীশের। তিনিই প্রথম ফোন করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে। শামিমের দাবি, অযোগ্য হয়েও নীতীশ রঞ্জন বর্মণ নামে এক চাকরিপ্রার্থী বসেছেন পরীক্ষায়। একই অভিযোগ করেছেন খোদ নীতীশের স্ত্রীও। শুধু পরীক্ষায় বসা দূর, ডাক পেয়েছেন ভেরিফিকেশনেরও। বিষয়টি নিয়ে রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে থাকে। পরিবারের তরফ থেকেও ‘বিশেষভাবে সক্ষম’ এই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষমদের বয়স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য একজনও দাগীকেও পরীক্ষায় না বসতে দেওয়ার নিদান দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ‘অন্যান্য ছাড়’ মানে কি দাগী প্রার্থীকেও ছাড়? এ কথা কোথাও খোলসা করে বলা নেই। আইনের এই ফাঁক কি কাজে লাগল নীতীশের? আইনজীবীরা অবশ্য তা মানছেন না। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, একজনও দাগী প্রার্থী বসবে না, এর অর্থ যা দাঁড়ায়, তাতে নীতীশের বসার কথা নয়।
