AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Interview List Published: অযোগ্য হয়েও ইন্টারভিউতে ডাক নীতীশের, ফোন করে স্বামীর পর্দা ফাঁস স্ত্রীর

Kolkata: এ প্রসঙ্গ টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর স্ত্রী বলেন, "আমার উপর অনেক অত্যাচার করেছে ওরা। আমি গরিব পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা যথা সম্ভব পণ দিয়েছিল। তবুও মন ভরেনি। আমায় মারধর করা হত। এরপর ২০২২ সালে আমায় ও আমার সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ছ'মাস আমি শ্বশুরবাড়িতে যেতে চাইলে আমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি ওদের বিরুদ্ধে ১২৫ ও ৪৯৮ ধারায় মামলা করেছি। আমি জানাতে চাই, আমার স্বামীর নাম ছিল দাগিদের তালিকায়। অথচ আমি দেখলাম নতুন পরীক্ষাতেও উনি বসেছেন। এটা কী ভাবে সম্ভব আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।"

SSC Interview List Published: অযোগ্য হয়েও ইন্টারভিউতে ডাক নীতীশের, ফোন করে স্বামীর পর্দা ফাঁস স্ত্রীর
এসএসসির প্রকাশিত তালিকা নিয়ে প্রশ্নImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2025 | 5:41 PM
Share

কলকাতা: নতুন করে যে পরীক্ষা হচ্ছে তা কতটা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে? সেই নিয়ে বারেবারে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর শনিবার সন্ধেয় একাদশ-দ্বাদশের নতুন নিয়োগের প্যানেলের ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হতেই ফের নতুন করে তৈরি হয়ে গেল বিতর্ক। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, অযোগ্য হয়েও নীতীশ রঞ্জন বর্মণ নামে এক চাকরিপ্রার্থী বসেছেন পরীক্ষায়। একই অভিযোগ করেছেন খোদ নীতীশের স্ত্রীও। শুধু পরীক্ষায় বসা দূর, ডাক পেয়েছেন ভেরিফিকেশনেরও। আদালতের নির্দেশের পরও অযোগ্য প্রার্থী কীভাবে বসলেন পরীক্ষায়? উঠছে প্রশ্ন।

ছাব্বিশের হাজারের চাকরি বাতিলের পর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সময় কোর্ট কড়া ভাষায় বলেছিল, যাতে একজনও অযোগ্য পরীক্ষায় বসতে না পারে। শুনানির সময় এসএসসি বলেছিল, এমনটা হবে না। আর কেউ যদি নতুন করে নেওয়া পরীক্ষায় বসেও যান, তাহলে ভেরিফিকেশনের ডাক পাবেন না। কিন্তু দেখা গেল উল্টো ছবি! এবার অযোগ্য প্রার্থীর ভেরিফিকেশনে ডাক পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং ওই চাকরিপ্রার্থীর স্ত্রী।

গতকাল এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ৯৫৮-তে নাম রয়েছে তাঁর। দাগি হয়েও কীভাবে নাম এল লিস্টে? কোথায় চাকরির পরীক্ষার সততা? প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গ টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর স্ত্রী বলেন, “পারিবারিক কারণে আমি ওদের বিরুদ্ধে ১২৫ ও ৪৯৮ ধারায় মামলা করেছি। সেটা চলছে। আমি জানাতে চাই, আমার স্বামীর নাম ছিল দাগিদের তালিকায়। অথচ আমি দেখলাম নতুন পরীক্ষাতেও উনি বসেছেন। এটা কী ভাবে সম্ভব আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।”

অপরদিকে, ফিরদৌস শামিম বলেন, “কাঁপা-কাঁপা গলায় ফোন করে যা তথ্য দিলেন তা সাংঘাতিক। তিনি বললেন আমার স্বামী অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী তবুও ওঁর নাম ভেরিফিকেশনের তালিকায় রয়েছে। ওই ভদ্রমহিলা আমায় অযোগ্যর তালিকায় তাঁর স্বামীর নাম এবং নতুন ইন্টারভিউর তালিকায় নাম দুটোই দিয়ে দিলেন। ”