SSC Recruitment Case In Calcutta High Court: শান্তিপ্রসাদই ‘কালপ্রিট’, জেলে পুরে জেরার পরামর্শ বিচারপতির, এসএসসি মামলায় বেনজির নির্দেশ

SSC Recruitment Case In Calcutta High Court: সার্ভে পার্ক থানার ওসিকে সিবিআই দফতরে এসএসসি কর্তার হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

SSC Recruitment Case In Calcutta High Court: শান্তিপ্রসাদই 'কালপ্রিট', জেলে পুরে জেরার পরামর্শ বিচারপতির, এসএসসি মামলায় বেনজির নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2022 | 11:04 PM

কলকাতা: এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাই প্রধান কালপ্রিট। প্রয়োজনে তাঁকে জেলে পুরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন ও উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাক্তন উপদেষ্টাকে জেলে পুরে জেরার পরামর্শ  দিলেন বিচারপতি। পাশাপাশি চার কর্তাকেও জেরার নির্দেশ দিলেন। বিতর্কিত চার এসএসসি কর্তার সম্পত্তির হিসাব পেশের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কলকাতা হাইকোর্টে চাপ বাড়ছে এসএসসি কর্তা ও উপদেষ্টা কমিটির চার কর্তা। স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় আজ ফের এসএসসির প্রাক্তন কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টের মধ্যে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। সার্ভে পার্ক থানার ওসিকে সিবিআই দফতরে এসএসসি কর্তার হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি মামলায় আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দিয়েছে সিবিআই।

এদিনের শুনানির শুরুকে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, “সর্বোচ্চ অথরিটি জানিয়েছেন, এসএসসি মামলায় যত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করতে অসুবিধা নেই। ওয়েট লিস্টে থাকবে তাদের নাম। বিচারপতি যা নির্দেশ দেবেন সেটাই মানা হবে।” সেসময় মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এখানে তো এজি নেই, সরকারি আইনজীবী সর্বোচ্চ বলতে কাকে বোঝাচ্ছেন।?” সেই কথার রেশ ধরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “এই সর্বোচ্চ ব্যক্তি কে? যার নির্দেশ নিয়ে এসেছেন আপনি?” আইনজীবী অবশ্য বিচারপতির এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক্ষেত্রে বলেন, “লিখিত আকারে সেই নির্দেশ আনুন। দেখা যাক কী করা যায়। দু’বছর পরে এটা কেমন হবে, যে বেআইনি চাকরি করছেন, তাদের বের করে দিচ্ছেন?” বিচারপতির উল্লেখ্যযোগ্য মন্তব্য, ” তাদের কিছুটা স্বস্তি দিন যারা পাশ করেও দু’বছর ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাড়িতে কাঁদছেন। আর গান্ধী মূর্তির নীচে বসে আছেন, বিশ্বাস করছেন তাদের কিছু হবে।” তারপরই সরকারি আইনজীবী বলেন, “কারও চোখের জল ফেলতে দেব না।”

এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শান্তি প্রসাদ সিনহা আসল কালপ্রিট। সিবিআই প্রয়োজনে তাঁকে জেলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ঝুলি থেকে বেড়াল বেড়িয়েছে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এনাফ ইজ় এনাফ!”

বিচারপতির এদিনের কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যবেক্ষণ

♦ আজ ফের প্রাক্তন এসএসসি কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে সিবিআই জেরার নির্দেশ।

♦ উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য অলক কুমার সরকারকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। তিনি শূন্যপদ নির্ধারণের দ্বায়িত্বে ছিলেন। সিবিআই মনে করলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। এই দুর্নীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে আমি মনে করছি। অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করতে হবে সিবিআইকে।

♦ আর্থিক দুর্নীতি খুঁজে বের করতে হবে।

♦ বাকি চার সদস্য- অলক কুমার সরকার, প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাঁজা, সুকান্ত আচার্য্যকে আগামী সোমবারের মধ্যে সম্পত্তির হিসাব পেশ করতে হবে।

♦ ৯৮ জন বিতর্কিত প্রার্থীকে সিবিআই মনে করলে ছোট ছোট দলে ভাগ করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

♦ এই ৯৮ জনকে ডাকার জন্য সিবিআই রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফের সাহায্য নিতে পারে।