SSC: দাগি হয়েও ফাঁক গলে বসে পড়েছিলেন সৌগত-মহম্মদ-অঞ্জনরা, ভেরিফিকেশন কলও পান! এখন তাঁরাই আবার… SSC নিয়োগের চাঞ্চল্যকর তথ্য
SSC Tainted List: তথ্য যাচাই করার পর ১ হাজার ৩২৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে। এখনও একাদশ দ্বাদশের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে। এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের শেষে সমাপ্ত হবে। ভেরিফিকেশন পর্বে নজিরবিহীনভাবে ১ হাজার ৩২৭ জনের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হল।

তথ্য যাচাই করার পর ১ হাজার ৩২৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে। এখনও একাদশ দ্বাদশের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলছে। এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের শেষে সমাপ্ত হবে। ভেরিফিকেশন পর্বে নজিরবিহীনভাবে ১ হাজার ৩২৭ জনের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হল। শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অনেক ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটও পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই নামগুলি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অর্থাৎ এই ১৩২৭ জন কোনওভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। সেই তালিকাও কমিশন নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে এসএসসি-র তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল, যাতে কোনও ভুল তথ্য দেওয়া না হয়। তারপরই এই ১৩২৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা ৩৫ টি বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁদের নাম নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাতিল করা হয়েছে। ফলপ্রকাশের পরই একাধিক ক্ষেত্রে চিহ্নিত দাগিরও ভেরিফিকেশনের কল আসার অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে প্রথমেই ছিল নীতীশরঞ্জন বর্মনের নাম। ২০১৬ সালের প্যানেলে তাঁর নাম চিহ্নিত দাগিদের তালিকায় ছিল। নীতীশের স্ত্রী, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে, তিনিই আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে ফোন করে বিষয়টি জানান। জল গড়ায় আদালতে। হাইকোর্ট তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে। কিন্তু ফাঁক গলে পরীক্ষায় বসে গিয়েছিলেন সৌগত অধিকারী, মহম্মদ আলাউদ্দিন, অঞ্জন অধিকারী, শ্বাশতবিকাশ মাইতি, সুদীপ পাল, গুরুপদ গিরিরা। তাঁদের প্রত্যেকের নামই ২০১৬ সালের চিহ্নিত দাগিদের তালিকায় ছিল।
এবিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যদি এখনও মানুষ মনে করে এই সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে, তাহলে ভুল করছেন।”
