AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CV Ananda Bose: ৫ লক্ষ মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বললেন ‘নরেন্দ্র, নরেন্দ্র, নরেন্দ্র’! কেন?

Governor of Bengal: তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বামেরা। কার্যত কটাক্ষের সুরেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাড়িতে গীতাপাঠের অভ্যাস ওর নেই, সময় নেই, সুযোগ নেই! এটা তো যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস। বিশ্বাসেও নেই, বাড়িতেও করতে পারে না। তাই যেখানে ক্যামেরা রয়েছে সেখানে গিয়ে বলতে শুরু করলেন।”

CV Ananda Bose: ৫ লক্ষ মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বললেন ‘নরেন্দ্র, নরেন্দ্র, নরেন্দ্র’! কেন?
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস Image Credit: TV 9 Bangla
| Updated on: Dec 07, 2025 | 4:47 PM
Share

কলকাতা: রামায়ণ থেকে মহাভারত, এদিন ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে ব্রিগেডে রাজ্যপালের মুখে শোনা গেল বাল্মিকী থেকে শ্রীকৃষ্ণ সবার কথাই। কীভাবে মহাভারতের ভয়ঙ্কর যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন, কীভাবে আলোর মতো সারাক্ষণ উদ্ভাসিত করেছিলেন সেই পাঠ দেন। জয়দ্রথের হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সূর্য আমাদের উপরে আছে। হাতিয়ার আমাদের সঙ্গে আছে। শত্রুরাও আমাদের সামনে আছে। বাংলা ধর্মের আস্ফালনকে শেষ করার জন্যও প্রস্তুত আছে।” এখানেই শেষ নয় অর্জুন নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়লে যুদ্ধ শেষে কৃষ্ণ কীভাবে তাকে ফের তাঁর আসল স্বরূপ দেখিয়েছিলেন সে কথাও বলেন। 

ব্রিগেড থেকে সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “যুদ্ধ শেষ হতেই অর্জুন মহলে যায়। ঘরের সামনে গিয়ে তিনি ভাবেন আমার জন্যই যুদ্ধে জয় এসেছে। কৃষ্ণ কে! ও তো সারথি, আমার ড্রাইভার, আমার চালক। কিন্তু ওই সময় কৃষ্ণ শুধু মুখে এক চিলতে হাসি রেখে রথ থেকে নিচে নেমে যান। আর নামতে না নামতেই রথ আগুনে দাউদাউ করে জ্বলে যায়। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।” আর এই দৃশ্য দেখে অর্জুন হতচকিত, বিস্মিত হয়ে যান। রাজ্যপাল বলেন, তখন অর্জুনের ওই অবস্থা দেখে তাঁর দিকে তাকিয়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, “কুরক্ষেত্রের যুদ্ধে এত দৈব্যাস্ত্র রথের উপর পড়লেও রথের কিছু হয়নি কারণ আমি ওতে ছিলাম। আমার কারণেই ওটা বিস্ফোরণে ফেটে খান খান হয়ে য়ায়নি। আমি নিজে ওই রথের চালকের আসনে ছিলাম।” আর এরপরেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বোস বলেন, “ভারত নামের রথের ওই অবস্থা হচ্ছে না তার কারণ হয়তো ওতে এক নরেন্দ্র আছেন, নরেন্দ্র আছেন, নরেন্দ্র আছেন।”  

তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বামেরা। কার্যত কটাক্ষের সুরেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাড়িতে গীতাপাঠের অভ্যাস ওর নেই, সময় নেই, সুযোগ নেই! এটা তো যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস। বিশ্বাসেও নেই, বাড়িতেও করতে পারে না। তাই যেখানে ক্যামেরা রয়েছে সেখানে গিয়ে বলতে শুরু করলেন। অপদার্থ রাজ্যপাল। এটা রাজ্যপালের কাজ নাকি? রাজ্যপাল নিজের কাজ করতে ব্যর্থ তাই এসব আজেবাজে কাজ করে।”