AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘ইভটিজিং বলে সম্পূর্ণ অন্য গল্প চালিয়েছে’, সুতন্দ্রার ঘটনায় কোর্টে বলল রাজ্য

Calcutta High court: রাজ্যের এজি-র বক্তব্য, "পানাগড়ের একটা জায়গায় এসে ক্রেটা গাড়িটি কার সার্ভিস রোডে ঢুকে যায়। আর সুতন্দ্রার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটা নির্মিয়মাণ টয়লেটে গিয়ে আঘাত করে।"

Calcutta High Court: 'ইভটিজিং বলে সম্পূর্ণ অন্য গল্প চালিয়েছে', সুতন্দ্রার ঘটনায় কোর্টে বলল রাজ্য
আদালতে কী বলল রাজ্য?Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 05, 2025 | 7:14 PM
Share

কলকাতা: পানাগড়ের ঘটনা ইভটিজিং নয়। আদালতে দাবি রাজ্যের। তাদের দাবি দুর্ঘটনাতে মৃত্যু হয়েছিল চন্দননগরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মিডিয়া হাউসের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করে জানান,এই ঘটনায় আক্রান্ত একজন ইভেন্ট ম্যানেজার। তিনি বুদ্ধগয়া যাচ্ছিলেন অনুষ্ঠান করতে। গাড়িটি পানাগড়ের পেট্রোল পাম্পে যায়। সেখান থেকে পেট্রোল ভরে বুদ্ধগয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “আর একটি ক্রেটা গাড়িও পানাগড়ের। সেই গাড়ির মালিক তাঁর ছেলে বিষ খেয়ে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যদের আশঙ্কা ছিল ছেলের বউ বা মা বিষ খেতে পারে। সেই আশঙ্কায় জোরে গাড়ি চালিয়ে তার হাসপাতাল থেকে ফিরছিল। তখনই ক্রেটা গাড়িটি প্রথমে ওভারটেক করে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে। সেই সময় সুতন্দ্রার অন্য একটা গ্রুপ যারা ট্রেনে যাচ্ছিল তাদের হোটেলে খাবারের আলুভাজা দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি ফোনে তারা জানাচ্ছিল সুতন্দ্রাকে। কারণ সুতন্দ্রা ছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজার। এই পরিস্থিতিতে সুতন্দ্রা একটু মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে পড়েন। চেইজ করতে বলে ক্রেটা কারটিকে। এইভাবে চলতে চলতেএকটা বাম্পারের জায়গায় দু’টি গাড়ির সামান্য ঠোকাঠুকি হয়।এর জেরে একে অপরকে চেইজ করার প্রবণতা আরও বাড়ে।”

রাজ্যের এজি-র বক্তব্য, “পানাগড়ের একটা জায়গায় এসে ক্রেটা গাড়িটি কার সার্ভিস রোডে ঢুকে যায়। আর সুতন্দ্রার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটা নির্মিয়মাণ টয়লেটে গিয়ে আঘাত করে। এটা কোনও ভাবেই ইভটিজিঙের বিষয় নয়। সেই ঘটনাকে মিডিয়া ইভটিজিং বলে সম্পূর্ণ অন্য গল্প বানিয়ে চালিয়েছে।”

রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত আরো বলেন, “আমাদের কাছে অন্তত ৭০ টি সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। পুলিশ কমিশনার খতিয়ে দেখেন। তারপর সেদিন বিকেলে ৬টা ৪৫ এ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান এটা ইভটিজিং-এর ঘটনা নয়। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়া হাউস পরদিন সকাল পর্যন্ত ইভটিজিং বলে চালাতে থাকে।” এজির বক্তব্য, “যে যে নিউজ চ্যানেল এবং সংবাদপত্র সুতন্দ্রা সংক্রান্ত খবর করেছে, তাঁদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত হিসাবে যোগ করতে হবে।” আগামী ১৮ ই মার্চ শুনানি হবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।