
কলকাতা: রাজ্যের সব স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে গাইতে হবে রাজ্য সঙ্গীত। বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক দিন স্কুলে স্কুলে গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’। সাম্প্রতিককালে বাঙালি আবেগে শান দিতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলে দাবি করে পথে নেমে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই একই কারণে এবার রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার ভাবনা!
প্রতিদিন সকালে অর্থাৎ স্কুলের প্রার্থনা সঙ্গীতে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গাওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ গাইতে বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল আগেই। বছর দুয়েক আগেই এমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ ‘শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা’-র সঙ্গে ‘রাজ্য দিবস’ পালনের কথাও বলা হয়।
রাজ্যের প্রতিটি সরকারি কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট ৫৯ সেকেন্ড ধরে গাইতে হয় ‘রাজ্য সঙ্গীত’। অনুষ্ঠানের শেষে গাইতে হয় জাতীয় সঙ্গীত। পাশাপাশি, এই দুই গান উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে গাওয়ার কথাও বলা আছে সরকারি নির্দেশে। আর এবার স্কুলগুলিতেও পড়ুয়াদের গাইতে হবে সেই গান।
২০২৩-এই রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে এই গানটি স্বীকৃতি পায়। বিধানসভায় সেই প্রস্তাবও পাশ হয়। পরে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানায়, গানটির একটি বিশেষ অংশ রাজ্যসঙ্গীত হিসেবে গাওয়া হবে। সেই অংশটি হল, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন, এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।’
এই গানের একটি শব্দ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, ‘বাঙালির ঘরে যত ভাইবোন’ না বলে বাংলার ঘরে যত ভাইবোন– বলা হোক। এই নিয়ে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শব্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়।
এই নির্দেশিকার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যের বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে দৃঢ়বিশ্বাসী।”