AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta High Court: ‘হাইকোর্টের রঙ কেন লাল করা হবে সেটা নিয়ে কি প্রতিবাদ করা যায়?’, আদালতে প্রশ্ন রাজ্যের

Calcutta High Court: ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। যাঁরা হাসপাতালে যাবেন, তাঁদের প্রাধান্য দিয়ে জায়গা করে দিতে হবে। কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

Calcutta High Court: 'হাইকোর্টের রঙ কেন লাল করা হবে সেটা নিয়ে কি প্রতিবাদ করা যায়?', আদালতে প্রশ্ন রাজ্যের
কলকাতা হাইকোর্ট Image Credit: Getty Images
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2025 | 1:23 PM
Share

কলকাতা: মিছিল সংক্রান্ত মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের। চিড়িয়াখানার বাণিজ্যিকীকরণের প্রতিবাদ মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মিছিলে উপস্থিত থাকতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিঙ্গল বেঞ্চের পর বিজেপির মিছিলে অনুমতি দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বুধবারই শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি দেয়। অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। রবীন্দ্র সদন থেকে জাতীয় গ্রন্থাগার পর্যন্ত ১০০০ লোক নিয়ে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চেও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকল।

তবে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। যাঁরা হাসপাতালে যাবেন, তাঁদের প্রাধান্য দিয়ে জায়গা করে দিতে হবে। কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না বলেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

রাজ্য়ের দাবি, চিড়িয়াখানার বাণিজ্যিকীকরণ মানে কী, সেটা বোঝা যাচ্ছে না, যারা মামলা করেছে, তারাও এটা জানে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজ্যের। সবকিছু নিয়ে প্রতিবাদ হয়না। সওয়াল করতে গিয়ে রাজ্যের প্রশ্ন, ‘হাইকোর্টের রঙ কেন লাল করা হবে সেটা নিয়ে কি প্রতিবাদ করা যায়?’

রাজ্যের বক্তব্য, গঙ্গাসাগর মেলা চলছে। পুলিশকে সেখানে দায়িত্ব পালনে যেতে হচ্ছে। এই সময় মিছিল করলে সমস্যা হবে বলে সওয়াল রাজ্যের। নির্দিষ্ট জায়গায় কর্মসূচি করলে কী অসুবিধা? সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য, এভাবে চলতে থাকলে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।