
কলকাতা: সিইও অফিসের সামনে আবারও বিএলও-দের বিক্ষোভ। ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। দুপুর থেকে তাঁরা সিইও-অফিসের সামনে জড়ো হন। প্রস্তুত ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও। এরপর বেলা গড়াতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে। শুরু হয় প্রবল ধস্তাধস্তি। এমন এক ছবি ধরা পড়ে, ব্যারিকেডের এক দিকে বিএলও-রা, অপরদিকে পুলিশ। ব্যারিকেড ধরে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। প্রবল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন উত্তরপ্রদেশ-সহ ছ’রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে অবশ্য সময়সীমা বাড়ানো হয়নি বাংলার। তবে ‘তৃণমূলপন্থী’ বিএলও অধিকার মঞ্চ অন্য দাবিতেই বিক্ষোভ দেখান।
এক বিক্ষোভকারী বিএলও বলেন, “এসআইআর-এর সময় বাড়ানো হল না বাংলায়। এক্ষেত্রেও বাংলাকে বঞ্চিত করা হল। অনেক মানুষ আসছেন, যাঁদের ফর্ম ফিল আপ এখনও পর্যন্ত হয়নি। নতুন নতুন অপশন কমিশনের তরফ থেকে তৈরি করা হচ্ছে। বিএলও-দের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।”
আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “তিন জন বিএলও-র মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে কমিশনের কোনও হেলদোল নেই। কমিশনের তরফ থেকে নিত্যনতুন নিয়ম জারি করা হচ্ছে। সময়সীমা বাড়ানো হল না।”
প্রসঙ্গত, বিএলও-দের ওপর যে প্রচণ্ড চাপ রয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টেও মান্যতা পেয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএলও-দের সহায়তা করার জন্য কমিশনকেই বিকল্প পন্থা গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিএলও-দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে মৃত বিএলও-দের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত কমিশনের তরফ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়নি। এই সমস্ত দাবিতেই এদিন বিএলও-দের বিক্ষোভ।